এম.ভি ঈগল-৩ লঞ্চে কিশোরীর গলাকাটা লাশ

ঢাকা সদরঘাটে পটুয়াখালীগামী এম.ভি ঈগল-৩ লঞ্চের কেবিনে এক কিশোরীকে গলাকেটে হত্যা করা হয়েছে। বুধবার (২০ জুলাই) বিকেলে এ হত্যাকাণ্ডের পরপরই সন্দেহভাজন এক যুবককে ধরে পুলিশে দেন লঞ্চের কর্মচারীরা।

নিহত কিশোরীর নাম পারুল আক্তার (১৬)। তার বাড়ি ঢাকার কেরানীগঞ্জের আগানগরে। আটক যুবকের নাম আল মামুন। তিনি পুরান ঢাকার সরকারি কবি নজরুল কলেজের শিক্ষার্থী।

সদরঘাট পুলিশ ফাঁড়ির এসআই দেলোয়ার হোসেন জানান, ঈগল-৩ নামের পটুয়াখালীগামী লঞ্চটি বিকালে সদরঘাটের ৭ নম্বর পন্টুনে ভেড়ানো হলে আল মামুন নামে ওই যুবক তৃতীয় তলার ৩০৮ নম্বর ডাবল কেবিনে ওঠে।

মামুন ও তার বাবা-মা গ্রামের বাড়ি যাবে বলে লঞ্চের লোকজনকে জানিয়েছিল। ওই সময় মামুনের সঙ্গে ছিল না নিহত কিশোরী,” বলেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।

বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে এক কেবিন বয় ৩০৮ নম্বর কেবিন থেকে রক্ত বের হতে দেখে অন্যদের ডাকেন। তখন কেবিন বয়রা জানালা খুলে কিশোরীর রক্তাক্ত দেহ দেখতে পায়। এরপর তারা মামুনকে আটক করে পুলিশে খবর পাঠায়।

কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) পারভেজ ইসলাম জানান, “ওই কিশোরীকে গলাকেটে হত্যা করা হয়। ওই কেবিন থেকে হত্যায় ব্যবহৃত চাকুটি উদ্ধার করা হয়েছে।”

মামুন জানিয়েছেন, তিনি কবি নজরুল কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।

পুলিশ অনুসন্ধান চালিয়ে মেয়েটির নাম পারুল আক্তার বলে জানতে পারে। আগানগরে তার বাবাকে খবর দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তা পারভেজ।

কী কারণে এই হত্যাকাণ্ড তা মামুনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে,” বলেন তিনি।

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট : আপডেট, বাংলাদেশ সময় ১১:৫০ পিএম, ২০ জুলাই ২০১৬, বুধবার
এএইচ/ডিএইচ

Share