সিলেটের মুরারিচাঁদ (এমসি) কলেজের ছাত্রাবাসে স্বামীকে মারধর করে আটকে রেখে তাঁর স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ছয় নম্বর আসামি মাহফুজুর রহমানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গতকাল সোমবার রাতে (২৮ সেপ্টম্বের) সিলেটের হরিপুর থেকে মাহফুজুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে কানাইঘাট থানা পুলিশ। এ ঘটনায় এ পর্যন্ত এজহারভুক্ত পাঁচজনসহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এর আগে গত রবিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ১টার দিকে ফেঞ্জুগঞ্জ উপজেলার কচুয়া নয়াটিলা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় রাজন ও আইনুল নামের দুই আসামিকে।
আরো পড়ুন…………প্রধান আসামী আটক
তারও আগে ওই মামলার আসামি মাহবুবুর রহমান রনিকে হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাবের একটি দল। অন্যদিকে নবীগঞ্জ উপজেলা থেকে রবিউলকে গ্রেপ্তার করে হবিগঞ্জ জেলা পুলিশ। এছাড়া রবিবার সকালে সিলেট বিভাগের পৃথক দুই স্থান থেকে মামলার প্রধান আসামি সাইফুর রহমান এবং অর্জুন লস্করকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গত শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় স্বামী-স্ত্রী এমসি কলেজে বেড়াতে যান। এ সময় কলেজ ক্যাম্পাস থেকে ৫-৬ জন জোরপূর্বক কলেজের ছাত্রাবাসে নিয়ে যায় দম্পতিকে। সেখানে একটি কক্ষে স্বামীকে আটকে রেখে ১৯ বছরের গৃহবধূকে গণধর্ষণ করে তারা। খবর পেয়ে গৃহবধূকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে শাহপরাণ থানা পুলিশ।
পরের দিন শনিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকালে নগরীর শাহপরান থানায় সাইফুর রহমানকে প্রধান আসামি করে ছয়জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত আরো তিনজনকে আসামি করে মামলা করেন ভুক্তভোগী তরুণীর স্বামী।
অভিযুক্তরা হলেন এমসি কলেজ ছাত্রলীগ নেতা এম সাইফুর রহমান, ইংরেজি বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী শাহ মো. মাহবুবুর রহমান রনি, তারেক আহমদ, অর্জুন লস্কর, রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান মাসুম। অভিযুক্ত তারেক ও রবিউল বহিরাগত হলেও বাকি চারজন এমসি কলেজের শিক্ষার্থী। আসামিরা সবাই ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে জানা যায়।
বার্তাকক্ষ, ২৯ সেপ্টেম্বর,২০২০;