ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগ করেছেন। জেল-জুলুম এবং অত্যাচার সহ্য করেছেন। তাঁর স্ত্রী চাকরি করে সংসার চালাতেন। দেশের জন্য তাঁর অনেক অবদান রয়েছে। আমি তাঁকে ওয়াদুদ চাচা বলে ডাকতাম। যখনই দেখা হতো তখনই জিজ্ঞেস করতেন ‘মামনি কেমন আছো’। সবসময় মামনি বলে ডাকতেন। – শেখ হাসিনা।
কর্মীদের এবং সমর্থকদের আকর্ষণে তাঁর সম্মোহনী ক্ষমতা ছিল। যেটা সব নেতার থাকে না। ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনে শেখ মুজিবুর রহমান ওয়াদুদ সাহেবকে মনোনয়ন দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তিনি রাজি হননি। তিনি মাঠের রাজনীতিতে যথেষ্ট উৎসাহী ছিলেন, ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য আগ্রহী ছিলেন না। তাঁর মতো উদার মনের মানুষ, একজন সৎ ও আত্মত্যাগী নেতা এদেশে খুব কমই আছে। -জিল্লুর রহমান।
বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর সারা জাতি যখন দিশেহারা অসহায়, কেউ যখন আওয়ামী লীগের সাথে সম্পর্ক রাখতে সাহসী হয় না, তখন আমি ওয়াদুদ সাহেবের কাছে যেতাম বুদ্ধি-পরামর্শের জন্য। সেই সময়ে তিনি সাহস যুুগিয়েছেন, ভরসা দিয়েছেন, মনে আশা জাগিয়েছেন। -সাজেদা চৌধুরী।
ওয়াদুদ ভাইয়ের মধ্যে কোন দাম্ভিকতা ছিল না। সাইকেল চালাতেন। সাদা শার্ট পেন্ট পরতেন। বঙ্গবন্ধুই যে আমাদের একমাত্র ভবিষ্যৎ এই বিশ্বাসটাই তিনি ধারণ করতেন। -আমির হোসেন আমু।
একজন রাজনৈতিক কর্মীর জীবনে পলিটিক্যাল ইন্টিগ্রেটির চেয়ে মহত্তর আর কিছু হয় না। শ্রদ্ধেয় ওয়াদুদ ভাই সারাজীবন সেই আদর্শ সমুন্নত রেখেছেন। যা আমাদের জন্য পাথেয়। -তোফায়েল আহমেদ।
ওয়াদুদ ভাই আমাদের অত্যন্ত প্রিয় ব্যক্তি ছিলেন। স্বৈরাচার শাসকগোষ্ঠী ওয়াদুদ সাহেবকে এতটা নির্যাতন করেছে যে তাঁকে স্ট্রেচারে করে হাসপাতালে নিতে হয়েছিল। রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনে তাঁর ভূমিকা অবিস্মরণীয়।-মিজানুর রহমান চৌধুরী।
ওয়াদুদ সাহেবের মতো একজন অসা¤প্রদায়িক, সত্যিকারের সংগ্রামী, ত্যাগী, প্রতিবাদী মানুষের আজ খুবই প্রয়োজন। তিনি কখনো রাজনীতির নামে আখের গোছানোর চিন্তা করেননি। কোনোদিন প্রতিদান বা স্বীকৃতির আশা করেননি। নীরবে বিভৃতে গণমানুষের মুক্তির লক্ষ্যে কাজ করেছেন আজীবন। -মুস্তাফা নূরউল ইসলাম।
মানবতাবাদী গণতান্ত্রিক চেতনার রাজনৈতিক কর্মী প্রচারবিমুখ হৃদয়বান মানুষ ছিলেন এমএ ওয়াদুদ সাহেব।-সন্তোষগুপ্ত।
নিজের জীবন সংসারের চেয়ে রাজনীতিই ছিল যার কাছে মুখ্য। -অধ্যাপক মির্জা মাজহারুল ইসলাম।
এমএ ওয়াদুদ আজীবন সংগ্রামী প্রতিবাদী ও সাহসী ব্যক্তিত্ব ছিলেন। -নূরুল ইসলাম।
এমএ ওয়াদুদ ছিলেন সেইসব মানুষের একজন যাঁরা অন্তরের প্রেরণায় ও বিবেকের তাড়নায় নিরন্তর কাজ করে যেতেন কিন্তু কোনো প্রতিদানের আশা করতেন না। -অধ্যাপক আনিসুজ্জামান।
আদর্শ ও ত্যাগী কর্মী এমএ ওয়াদুদকে স্মরণ করি শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতায়। -ড. রফিকুল ইসলাম।
তথ্য সূত্র : অধ্যক্ষ রতন কুমার মজুমদারের ফেসবুক থেকে।