আগামী ২৮ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য চাঁদপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হচ্ছেন জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের একাধিকবার নির্বাচিত কমান্ডার, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের সৈনিক, বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী ও সমাজসেবক যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ ওয়াদুদ।
চাঁদপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নির্বাচিত ডেপুটি কমান্ডার, সহকারী কমান্ডার ও জেলা ৮ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নির্বাচিত কমান্ডারসহ মুক্তিযোদ্ধা এবং জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের অনুরোধে তিনি প্রার্থী হতে যাচ্ছেন বলে জানাগেছে।
আজ শনিবার এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি জানান, বর্তমানে যে প্রার্থীকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে তিনি চাঁদপুর জেলার ৮টি উপজেলার ইউপি চেয়ারম্যান দূরের কথা ৮ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও পৌর সভার মেয়রদের ভালো ভাবে চিনেন কিনা সন্দেহ রয়েছে। তিনি গত ৫বছর দ্বায়িত্ব পালন কালে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও কোন মুক্তিযোদ্ধাদের কোন প্রকার উপকার করেছে কিনা আমাদের জানানেই। বরং তার কাছে কোন নেতাকর্মী ও মুক্তিযোদ্ধারা গেলেই তিনি বলে উঠতো “তুমি জানি কে” এই কথা বলার পর পরই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা দূরের কথা মুক্তিযোদ্ধারাও লজ্জায় চলে যেত।’
জেলা পরিষদ নির্বাচন প্রসঙ্গে এম এ ওয়াদুদ বলেন, জেলা পরিষদ নির্বাচন যেহেতু দলীয় প্রতীকে নয় এবং নির্ধলীয় ও নিরপেক্ষ ভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচছে সেহেতু আমি এক সাধারণ জনগণ হিসেবে চাঁদপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্ব›িদ্ধতা করবো। কারন চাঁদপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনে আমাকে প্রতিদ্ব›িদ্ধতা করতে জেলা-উপজেলা পর্যায়ের মুক্তিযোদ্ধা ও নির্বাচিত প্রতিনিধিরা অনুরোধ করেছেন। তাই আমি চাঁদপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে চাঁদপুর জেলা থেকে সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ, মাদক, বাল্য বিবাহ বন্ধসহ সরকার বিরোধী অনৈতিক কর্মকান্ড বন্ধে অতন্ত্র প্রহরী হিসেব দ্বায়িত্ব পালন করে যাবো, পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার কারিগর হিসেবে কাজ করে যাবো। আমি চাঁদপুর জেলার উন্নয়নে এবং ইলিশ খ্যত চাঁদপুর জেলাকে দেশের এক নাম্বার মডেল জেলা হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উপহার দেব.ইনশাল্লাহ।
সংক্ষিপ্ত জীবন-বৃত্তান্ত
নামঃ- লেঃ (অবঃ) এম,এ,ওয়াদুদ (যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা)
পিতা মৃতঃ- আলহাজ্ব রজ্জব আলী মুন্সী
গ্রামঃ সুজাতপুর, পোঃ নন্দলালপুর
উপজেলাঃ মতলব (উঃ), জেলাঃ চাঁদপুর।
শিক্ষাগতযোগ্যতাঃ- ¯œাতক (ঢাবি)
পাকিস্তান বিমান বাহিনীতে যোগদান ১৯৬৭ ইং
ইংরেজি ভাষায় ডিপ্লোমা পি,এ,এফ কোহাট (পাকিস্তান)
সেনা বাহিনীতে ১৯৬৯ সালে প্রশিক্ষণের পর কমিশন লাভ পি,এম,এ কাকুল (পাকিস্তান)
সামরিক বিজ্ঞানে ¯œাতক উত্তর ডিপ্লোমা কোর্সে অংশগ্রহণ ও কৃতিৃত্বে সাথে ডিপ্লোমা লাভ করেন।
রাজনীতি
এম ওয়াদুদ পূর্ব পাকিস্তানে ছাত্রলীগের সক্রিয় সদস্য এবং তোলা রাম কলেজ ছাত্র সংসদ নির্বাচনে বাবু সরওয়ার-ওয়াদুদ প্যানেলে ১৯৬৬ সালে সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হন।
সামাজিক অবদানঃ
এম ওয়াদুদ ১৯৭২ সালে সুজাতপুর কমপ্লেক্স প্রতিষ্ঠা করেন। ওই কমপ্লেক্সের অর্ন্তভুক্ত
ক) সুজাতপুর ডিগ্রি কলেজ।
খ) সুজাতপুর নেছারিয়া উচ্চ বিদ্যালয়।
গ) সুজাতপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়।
ঘ) সুজাতপুর কিন্ডার গার্ডেন স্কুল।
ঙ) সুজাতপুর দরবেশ বাড়ী হাফেজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানা।
চ) ১৩নং ইসলামাবাদ ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স ভবন।
ছ) ১৩নং ইসলামাবাদ ইউনিয়নে সকল রাস্তা পাকা করন এবং প্রতিটি বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগের ব্যাবস্থা করা হয়।
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ৫:৪০ পিএম, ২৬ নভেম্বর ২০১৬, শনিবার
ডিএইচ