এবার সৌদির সাথে মিল না রেখেই হাজীগঞ্জের ৮ গ্রামের মানুষের আগাম ঈদ

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে ঈদের দুই দিন আগে ৮ গ্রামের মানুষ পালন করলো ঈদুল ফিতরের জামাত।

১২ মে বুধবার সকালে হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা, সমেশপুর, অলীপুর, বলাখাল, ভোলাচোঁ, ঝাকনি, সোনাচোঁ, প্রতাপপুর, বাসারা ও সুরঙ্গচাইল এ ৮ গ্রামের মানুষ ঈদের জামাতে অংশগ্রহন করতে দেখা যায়।

হাজীগঞ্জের ঐতিহাসিক সাদ্রা দরবার শরীফের বর্তমান পীর মুফতি মাও. জাকারিয়া চৌধুরী আল- মাদানী মঙ্গলবার গভীর রাতে চাঁদ দেখা গেছে মর্মে বুধবার ঈদ উদযাপনের সিদ্ধান্ত নেয়। ভোর রাতে সেহেরী খাওয়ার সময় এসব গ্রামের মাইকে প্রচার করা হয়।

সেই প্রচারে সাড়া দিয়ে পাশ্ববর্তী ফরিদগঞ্জ উপজেলার উভারামপুর গ্রামের কিছু লোক সাদ্রা দরবার শরীফের মাঠে ঈদের জামাতে অংশগ্রহণ করেন।

এদিকে রাতের বেলায় সিদ্বান্ত নেওয়ায় এসব গ্রামের অধিকাংশ মানুষ ঈদের জামাতের বিষয়টি জানতে পারেনি বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।

বাংলাদেশে দুই দিন আগে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হওয়ার বিষয়ে সাদ্রা দরবার শরীফের বড় পীরজাদা পীর ড. বাকী বিল্লা মিসকাত চৌধুরী বলেন, আফ্রিকার দেশ সোমালিয়া, নাইজেরিয়াতে চাঁদ দেখেছে। আমরা গভীর রাতে চাঁদ দেখার বিষয়টি জেনে সেহেরীর সময় যতটুকু সম্ভব মাইকিং করেছি।

সাদ্রা গ্রামের ইউপি সদস্য দুলাল মিয়া বলেন, যুগ যুগ ধরে দরবারের হুজুরদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ি কয়েক গ্রামের মানুষ প্রতিবছর আগাম ঈদসহ ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করে আসছে।

হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ হারুনুর রশিদ বলেন, আমরা বুধবার সকালে অবগত হয়ে সাদ্রা দরবার শরীফ ও মিয়াজী বাড়ি মসজিদে মুসুল্লিদের সার্থে পুলিশ অবস্থান নিয়েছে।

প্রতিবেদক : জহিরুল ইসলাম জয়

Share