খেলাধুলা

‘এবার ঠিকই এগারোটি কাটা মাথা নিয়ে দেশে ফিরবে টাইগাররা’!

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ম্যাচে তাসকিন আহমেদ ও আরাফাত সানির বোলিং অ্যাকশন নিয়ে আম্পায়াররা সংশয় প্রকাশ করা নিয়ে বাংলাদেশের ক্রিকেট ভক্ত এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনা ও সমালোচনার ঝড় চলছে।

এ ব্যাপারে ফেইসবুকে নাসির পাঠান নামে একজন লিখেছেন, “সত্যি সত্যি ধোনির মাথা কাটার আগে তাসকিনের হাতটাই যেনো বেঁধে দিলো বেহায়া ভারত। পারেও তারা !। তার পরও কী ধোনিরা তাদের মাথা ঘাড়ে নিয়ে চলতে পারবে ?। এবার ঠিকই এগারোটি কাটা মাথা নিয়ে দেশে ফিরবে টাইগাররা। ইনশাআল্লাহ।”

অন্যদিকে আশরাফ সাফি নামে একজন ফেইসবুকে লিখেছেন, “হ্যালো আইসিসি, আমাদের বোলিং একশন দেখছো, রিয়্যাকশন দেখো নাই! আমরা ফুটবল দিয়া ক্রিকেট শিখতে শুরু করি। ছোটবেলায় যখন বাপে আর কিছু কিনে দেয় না তখন প্রথম চার নম্বর ফুটবল দিয়া প্রথম বোলিং করি, ব্যাটিং করি নারিকেলের ডালা দিয়া। আমাদের ঘাবড়াইয়া দিয়া কিছুই দাবায়া রাখতে পারবা না। এই জাতি বাঘের জাতি, বাঘের হাতে পাচ নম্বর ফুটবল দিয়াও দেখতে পারো, একই একশন একই বলিং থাকবো! লাগবা বাজি, আইসিসি?”

ইমরান এইচ সরকার লিখেছেন, “সাবাস তাসকিন! সত্যিকারের ভীতিটা তৈরি করতে পেরেছো বলে! ওরা এতোটাই ভয় পেয়েছে যে যেকোনো মূল্যে তোমাকে মাঠের বাইরে রাখতে চায়। আইসিসি’র বাংলাদেশের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।”

ইমরান মোল্লা লিখেছেন, এটা ইন্ডিয়ার বড় ধরনের ষড়যন্ত্র। এসব জঘন্যতম কাজ না করে একেবারে বাংলাদেশকে আইসিসি থেকে বাদ দিলে আমরা খুশি/উপকৃত দুটোই হবো। কারণ আমরা জানোয়ারদের সাথে খেলতে চাইনা, আমরা মানুষ। কাহিনী গতকালই বুঝেছি আমরা, যখন সেৌম্য সরকারের ব্যাটে টাচ না হয়েঅ ক্যাচ আউট হয়, অথচ নেদারল্যান্ড এর প্লেয়ারের গ্লোপস এ টাচ হয়ে মুশফিকের হাতে বন্দি হবার পরঅ সেই আউট দেয়া হলোনা। বুঝতে পেরেছি তখনি যখন নেদারল্যান্ড এর ৩টা এলবিডব্লিউ দেয়া হলোনা। আর এখন বলছে সানির বোলিং এ্যাকশনে প্রবলেম। পরের ম্যাচে বলবে মোস্তাফিজুরের এ্যাকশনে প্রবলেম, তারপর বলবে তাসকিনের, তারপর মাশরাফির। এভাবে বাংলাদেশ দলটাকে তারা ভ্যানিস করে দেয়ার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছে। কারণ তাদের বাংলাদেশ কয়েকবার করুনভাবে নাস্তা-নাবুদ করেছে, আর এটাই বাংলাদেশের অপরাধ। অথচ পরীক্ষা করে দেখা যাবে-ইন্ডিয়া, ইংল্যান্ড এবং অস্ট্রোলিয়ার বোলিংদের মধ্যে অনেকের এ্যাকশনে প্রবলেম আছে। কিন্তু বাংলাদেশের প্রবলেম না থেকেঅ সমস্যা। এভাবে কখনো খেলা হতে পারেনা…..এর নাম খেলাধুলা নয়। খেলাধুলায় জয়-পরাজয় থাকবেই, কিন্তু বিশ্বকাপের পর থেকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যা ঘটছে তাকে স্বাভাবিক খেলাধুলা বলা চলেনা, এর নাম পেশি শক্তি। আরেকবার আমাদের যুদ্ধে নামতে হবে মনে হচ্ছে। আরেকবার আমরা এই অপশক্তিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে জয় ছিনিয়ে আনতে চাই। বাংলাদেশের মানুষ ক্রিকেট পাগল..তারা বাংলাদেশের টাইগারদের জন্য অনেক কিছুই করতে পারে, এ প্রমাণ তারা বার বার দিয়েছে। বাংলাদেশ বনাম নেদারল্যান্ড এর ম্যাচে যেসব ঘটনা ঘটেছে, তা যদি বাংলাদেশের মাটিতে ঘটতো, ঝালটা ঠিক বুঝতে পারতো ঐ হারামিরা। বাংলাদেশে পারে নাই এখন ইন্ডিয়ায় নিয়ে গিয়ে ষড়যন্ত্র করছে কাপুরুষরা। একটা কথা পরিস্কার কানে শুনে রাখুন- আমাদের সাথে পল্টি মারতে আসবেন না, এটা বাংলাদেশ। টাকার শক্তি আমাদের না থাকতে পারে মনের শক্তি অনেক বেশি, আর মনের শক্তিতেই অনেক কিছুই করা যায়। এরকম নির্দশন আপনারা আগে দেখেছেন। সুতরাং…….ফাজলামি ছেড়ে সোজা পথে আসুন।”

Abu Rasel Ahad লিখেছেন, “ইন্ডিয়ান ক্রিকেট টিম কে সব রকম ফরমেট থিকে বাদ দেয়া হক। কেননা তারা আম্পায়ার এবং আইসিসি সহজগিতা ছাড়া খেলতে পারেনা। প্রায় সব বিশ্বকাপ খেলার আগে ওই গ্রুপ এর কন টিম খেলয়ার যদি ভালো থাকে তাহলে তাকে যে কোনো উপায়ে ঘায়েল করবেই, যাতে সে না খেলতে পারে। এটাই অদের সভাব (ওদের স্বভাব)।”

প্রসঙ্গত, বুধবার নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে বাংলাদেশের স্বস্তির জয়ের পরই শোনা যায় অস্বস্তির এই গুঞ্জন। তবে আইসিসি আনুষ্ঠানিকভাবে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বিষয়টি জানায় বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে। এর আগেই অবশ্য দুপুরে হিমাচল প্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন মাঠে বাংলাদেশের অনুশীলনের আগে সংবাদ সম্মেলনে খবরটি নিশ্চিত করেন কোচ চন্দিকা হাথুরুসিংহে।

আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী, কোনো বোলারের অ্যাকশন প্রশ্নবিদ্ধ হলে দুই সপ্তাহের ভেতর আইসিসি অনুমোদিত কোনো ল্যাবে অ্যাকশনের পরীক্ষা দিতে হয়। তবে আইসিসি টুর্নামেন্ট চলাকালে নিয়মটি একটু ভিন্ন। এখানে সময় ৭ দিন। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আইসিসি জানিয়েছে, বাংলাদেশের টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে কথা বলে যত দ্রুত সম্ভব চেন্নাইয়ে আইসিসি অনুমোদিত ল্যাবে এই দুই বোলারকে পাঠানোর চেষ্টা চলছে। পরীক্ষার ফল না আসা পর্যন্ত তাসকিন-সানির বোলিং করে যেতে বাধা নেই।

|| আপডেট: ১০:২০ অপরাহ্ন, ১০ মার্চ ২০১৬, বৃহস্পতিবার

এমআরআর

Share