জনসেবামূলক কাজে প্রশংসনীয় অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ‘জনপ্রশাসন পদক-২০১৮’ পেতে যাচ্ছেন চাঁদপুরের সর্বজন প্রিয় হয়ে ওঠা আলোচিত জেলা প্রশাসক মো. মাজেদুর রহমান খান। ১৮ জুলাই জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয়ের সচিব ফয়েজ আহমদ স্বাক্ষরিত এক পত্রে এ তথ্য জানানো হয়।
সরকারি কর্মকর্তাদের জনসেবার কাজে উদ্ভুদ্ধ করণে বাংলাদেশ সরকার এই পদক চালু করে। এর আগে চাঁদপুরের সাবেক জেলা প্রশাসক আব্দুছ সবুর মন্ডলসহ জেলার ৬জন সরকারি কর্মকর্তা এ পদক লাভ করেন।
আগামী ২৩ জুলাই ঢাকায় ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ‘পাবলিক সার্ভিস দিসব’ অনুষ্ঠানে ২০১৮ সালের এ পদকটি অনুষ্ঠানিকভাবে প্রদান করা হবে। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘জনপ্রশাসন পুরস্কার’ প্রাপ্ত সকলের হাতে এই পুরস্কার তুলে দিবেন।
চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মো. মাজেদুর রহমান খান এই পুরস্কারটি পাচ্ছেন যশোর জেলার স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক হিসেবে। তিনি ২০১৬ সালের ৭ মে যশোরে স্থানীয় সরকার বিভাগে যোগদান করেন।
পরে ২০১৮ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি পদোন্নতি দিয়ে তাকে জেলা প্রশাসক (ডিসি) হিসেবে চাঁদপুরে নিয়োগ দেয়া হয়। উল্লেখিত পদ থেকেই তিনি সদ্য পদোন্নতি পেয়ে চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক হিসেব যোগদান করেন।
জনপ্রশাসন থেকে প্রেরিত চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, যশোর জেলার স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে জনসেবা প্রধানে আপনার গুরুত্বপূর্ণ ও প্রশংসনীয় অবদানের স্বীকৃতি সরূপ আপনি জেলা পর্যায়ের (ব্যক্তিগত) ক্যাটাগরীতে জনপ্রশাসন পুরস্কার-২০১৮ এর জন্য চুড়ান্তভাবে মনোনিত হয়েছেন। এই গৌরবময় অর্জনের জন্য আপনাকে অভিনন্দন জানাচ্ছি।
প্রসঙ্গত: ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার কৃতি সন্তান মো. মাজেদুর রহমান খান চাঁদপুরের ১৯ তম জেলা প্রাসক হিসেবে এ বছরের ৪ মার্চ যোগদান করেন। পারিবারিক জীবনে তিনি ৫ম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক কন্যা সন্তানেরর জনক। ২০ তম বিসিএসে উত্তীর্ণ হয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এটুআইতে নিয়োগ পেয়ে কর্মজীবন শুরু করেন।
এরপর তিনি টাঙ্গাইল জেলার কালিহাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও গোপালগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। চাঁদপুরে যোগদানের পর থেকে তিনি তার কর্মকান্ডে এখানকার সর্বজনের কাছে অত্যান্ত প্রিয় হয়ে উঠেন।
দাপ্তরিক কাজের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি তিনি সাধারণ মানুষের মতোই খুব সকালে এবং পড়ন্ত বিকেলে হাঁটতে বের হন। হাঁটতে হাঁটতে দরিদ্রপল্লির ভাগ্যাহত সাধারণ মানুষের খুব কাছে গিয়ে তাদের সমস্যার কথা শোনেন এবং সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন।
চাঁদপুরকে ভিক্ষুকমুক্ত করণে তিনি এ পর্যস্ত বহু কর্মক্ষম মানুষকে অর্থিক সহযোগিতার মাধ্যমে স্বাবলম্বি করে তুলেছেন। প্রায় প্রতিদিনই কোনো না কোনো ভালো কর্মকান্ড দিয়ে তিনি জেলাবাসীর হৃদয়ে জায়গা করে নিচ্ছেন। শুধু তাই নয় সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে (ডিসি চাঁদপুর পেজে) সাধারণ মানুষের সমস্যার কথা শুনে তড়িৎ গতীতে তা সমাধানে তিনি এগিয়ে আসেন।
বিভিন্ন সেমিনারে জেলা প্রশাসক তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘একজন মানুষ তার কর্মকে যখনি ইবাদত হিসেবে মেনে নিবেন তখনই তিনি কাজের সাফল্য পাবেন’। আজকে তার কাজই তাকে অনেক উচ্চতায় নিয়ে যাচ্ছে।
প্রতিবেদক : আশিক বিন রহিম