স্বামীকে ছাড়াই ফিরে গেলেন শ্রাবন্তী

দুই মেয়ে রাবিয়াহ ও আরিশাকে নিয়ে অবশেষে নিউ ইয়র্কেই চলে যেতে বাধ্য হলেন ‘রং নাম্বার’ খ্যাত এক সময়ের তারকা অভিনেত্রী ইপসিতা শবনম শ্রাবন্তী। শুক্রবার সন্ধ্যায় তিনি বাংলাদেশ ত্যাগ করেছেন বলেন জানান নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী।

বিদায়লগ্নে বিমান বন্দরে শ্রাবন্তী ও তার দুই মেয়ের সাথে ছিলেন নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী। দুই মেয়ের ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে অবশেষে নিউ ইয়র্কেই ফিরে যেতে বাধ্য হয়েছেন অভিনেত্রী শ্রাবন্তী, এ বিষয়টি জানিয়ে চয়নিকা চৌধুরী শনিবার দুপুরে বলেন, শ্রাবন্তী ভেবেছিলো আলম ভাইয়ের (শ্রাবন্তীর স্বামী) সাথে দাম্পত্য ঝামেলা মিটে যাবে।

তিনি যে ডিভোর্স লেটার পাঠিয়েছেন সেটা সন্তানদের কথা ভেবে উইথড্রো করবেন। শ্রাবন্তীর পক্ষ থেকে সব ধরনের চেষ্টায় করা হয়েছে। কিন্তু আলম ভাই ডিভোর্সের সিদ্ধান্তে অনড় থাকায় শেষ পর্যন্ত শ্রাবন্তী নিউ ইয়র্কেই ফিরে যাওয়া সঠিক মনে করেছেন।

ডিভোর্স নিয়ে আদালতে শ্রাবন্তী ও তার স্বামী মোহাম্মদ খোরশেদ আললের মামলা চলমান। সেটার কী হবে? এমন প্রশ্নে চয়নিকা চৌধুরী বলেন, শ্রাবন্তী আমাকে বলেছেন তার মামলাটি দেখবে তার পরিবারের সদস্য কালাম। তাকেই মামলার ‘পাওয়ার অফ অ্যাটর্নি’র দায়িত্ব দিয়ে গেছেন শ্রাবন্তী।

তবে কি ডিভোর্স নিশ্চিত? এই প্রশ্নেরও উত্তর দিয়ে গেছেন শ্রাবন্তী। চয়নিকা চৌধুরী ভাষ্য, উড়াল দেয়ার আগে শ্রাবন্তী আমাকে বলেছেন আমিতো আলমের সাথে সংসার করার অনেক ট্রাই করলাম।

এখন সে যদি আমার সাথে থাকতে না চায় তাহলেতো আর আমি জোর করতে পারি না। কিন্তু এখনতো আমাকে আমার মেয়েদের দিকটাও ভাবতে হবে। তাদের স্বপ্ন পূরণে আমাকে নিউ ইয়র্কে যেয়ে কিছু একটা করতে হবে। শ্রাবন্তীকে এখন বিশাল একটা সমুদ্র পাড়ি দিতে হবে বলে মনে করেন চয়নিকা।

নিউ ইয়র্কে যেয়ে কেন স্ট্রাগল করবেন? অভিনয় ক্যারিয়ার নিয়ে নতুন করে দেশেও কাজ শুরু করতে পারতেন না?-প্রশ্নে চয়নিকা বলেন, ওই দেশে যাওয়ার ইচ্ছে শ্রাবন্তীরও ছিলো না। কিন্তু ওইখানে তার বাচ্চা দুটোর সিটিজেনশিপ। এজন্য ওইখানেই বাচ্চাদেরকে ভালো ভাবে মানুষ করার জন্যই পাড়ি দিলেন।

আর দেশে এসে ছিলেন মূলত আলম ভাইয়ের সংসার করতেই। কিন্তু সেটা যখন হলো না, তাই আর দেশে থাকারও হয়তো ইচ্ছে জাগেনি। আর অভিনয় ক্যারিয়ারের কথা বলছেন, এবার সে দেশে আসার পরওতো ট্রাই করেছিলাম। এজাজ মুন্না স্ক্রিপ্টও রেডি করেছিলো। কিন্তু সে রাজি হয়নি।

তবে যাওয়ার আগে একটা কথা শ্রাবন্তী বলে গেছেন, যদি নিউ ইয়র্কে যেয়ে ভালো না লাগে তাহলে সে ব্যাক করবে। তবে মেয়েদের সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য নিউ ইয়র্কেই বাস করার আপ্রাণ চেষ্টা করবে।

চলতি বছরের মে মাসে অভিনেত্রী ইপসিতা শবনম শ্রাবন্তীকে ডিভোর্স লেটার পাঠায় তার স্বামী খোরশেদ আলম। এরপর ২২ জুলাই এই ডিভোর্স লেটারকে অবৈধ দাবি করে ঢাকার পারিবারিক আদালতে ‘দাম্পত্য সত্ত্ব পুনরুত্থান’ মামলা করেন শ্রাবন্তী। আগস্টের শুরুতেই তাদের দুই পক্ষকেই ডাকে আদালত। যেখানে দুই সন্তান নিয়ে হাজির ছিলেন অভিনেত্রী শ্রাবন্তী। তবে ডিভোর্সের সিদ্ধান্তে অনড় থাকেন স্বামী খোরশেদ আলম।

বিনোদন ডেস্ক

Share