চাঁদপুর পৌরসভার এনায়েত নগর গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে কিশোর গ্যাংদের দিয়ে বাড়ি ঘরে হামলা ও ভাংচুর করার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় কলেজছাত্র সহ একই পরিবারের ৪ জন আহত হয়েছে। ১৭ এপ্রিল বুধবার সকালে চাঁদপুর পৌরসভার ১৩ নং ওয়ার্ডস্থ শেখার হাট বাজার সংলগ্ন এনায়েত নগর গ্রামের মিয়া বাড়িতে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন, ওই বাড়ির নাজির হোসেন মজুমদার এর স্ত্রী পেয়ারা বেগম (৩২), তার ছেলে পুরান বাজার ডিগ্রি কলেজের ১ম বর্ষের ছাত্র নাঈম মজুমদার (১৭), রাকিব হোসেনের স্ত্রী
ফেরদৌসী বেগম (২২) ও মৃত আবুল বাশারের স্ত্রী শাহিদা বেগম (৬০)।
ভুক্তভোগী আহতরা জানান, প্রায় বছর খানেক পূর্বে আহত পেয়ারা বেগম স্থানীয় বাচ্চু মিজির কাছ থেকে ৫ শতাংশ জমি ক্রয় করেন। ঘটনার দিন সকালে তারা তাদের জমিতে নেটজাল দিয়ে বেড়া দিতে গেলে একই বাড়ির বাকিউল্লাহ মিয়া ও তার স্ত্রী হনুফা বেগম তাদের ছেলে সন্তানসহ ওই জমিতে বেড়া না দেয়ার জন্য বাঁধা প্রদান করে। এ নিয়ে তাদের মধ্যে অনেক কথা কাটি হয়। এক পর্যায় বাকিউল্লাহ মিয়ার পরিবারের লোকজন তাদেরকে অনেক হুমকি ধমকি প্রদান করেন।
আহতদের অভিযোগ ঝগড়ার পর পরই বাকিউল্লাহ মিয়া কিশোর গ্যাংদের দিয়ে তাদের বসতঘরে হামলা ও ভাংচুর চালায়।
এসময় স্থানীয় মিজান মিয়ার ছেলে, সালাউদ্দিন মিয়া, ইলিয়াস মিয়া, শামীম মিয়া, সফিক মিয়ার ছেলে হাসান মিয়া, ভাগিনা সিয়াম, বাকিউল্লাহর ছেলে রাজু মিয়াসহ অজ্ঞাত আরো বেশ কয়েকজন কিশোর গ্যাং সদস্যরা মিলে তাদের বসত ঘরের দরজা, জানালা, টিন এবং ঘরের ভেতর ঢুকে শোকেস, চেয়ার, টেবিল ভাংচুর করে। এসময় তারা বাঁধা দিতে গেলে হামলাকারী কিশোর গ্যাংরা তাদেরকে মেরে আহত করেন।
আহত ভুক্তভোগীরা আরো জানান, ঘটনার তিন দিন আগে তাদের গাছ থেকে ডাব পারতে গেলে একই বাড়ির আবু সাঈদ মিয়ার পুত্র মোঃ হাবিব মিয়া, মেয়ে লিপি বেগম ও নুপুর আক্তারের পরিবারের সাথে তাদের ঝগড়া হয়। সেই ঝগড়াকে কেন্দ্র করেই তারা বাকিউল্ল্যাহদের ইন্দন দিয়ে এই হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটিয়েছে বলে তাদের দাবি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত বাকিউল্লাহ মিয়ার সাথে আলাপ করতে চাইলে তাকে তার ঘরে গিয়ে পাওয়া যায়নি। তার স্ত্রী হনুফা বেগম বলেন, বসতঘর ভাংচুরের বিষয়ে আমরা কিছুই জানিনা।
প্রতিবেদক: কবির হোসেন মিজি, ১৭ এপ্রিল ২০২৪