চাঁদপুর টাইমস নিউজ ডেস্ক | আপডেট: ০৯:৪১ অপরাহ্ণ, ১১ আগস্ট ২০১৫, মঙ্গলবার
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশ জিএসপি সুবিধা বঞ্চিত হওয়ায় বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, সরকারের ভুলের খেসারত এখন জনগণকে দিতে হচ্ছে। কিন্তু এই ভুল সরকার করেছে। তাই সরকারেই এর খেসারত দিতে হবে।
মঙ্গলবার বিকেলে নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, জিএসপি সুবিধা না পাওয়ায় বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের দূরভাগ্য। বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের শ্রমিকদের ন্যায় বিএনপিও এতে উদ্বেগে রয়েছে।
সরকারকে উদ্দেশ্যে রিপন বলেন, বিশ্বের ১শ` ২২টি দেশ জিএসপি সুবিধা পেয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশ কেনো জিএসপি সুবিধা পেল না তার ব্যাখ্যা আপনাদেরকে দিতে হবে। এছাড়া জিএসপি সুবিধা পাওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্র যে ১৬টি নির্দেশনা দিয়েছিলেন তারও ব্যাখ্যা আপনাদের দিতে হবে এবং দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে।
বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে তিক্তাতা সম্পর্ক রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের তিক্তাতা সম্পর্কের জন্য জিএসসি সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছে বাংলাদেশ। আর এর জন্য একমাত্র দায়ী বর্তমান ক্ষমতাসীনরা।
সরকারকে উদ্দেশ্য করে তিনি আরো বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়ন করুন। কারণ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন না হলে এর প্রভাব পোশাক শিল্পের উপর পড়বে।
গ্রামীণ ব্যাংক প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, দারিদ্র বিমোচনে গ্রামীণ ব্যাংক সারাবিশ্বে একটি মডেল। অথচ সরকার গ্রামীণ ব্যাংক থেকে এক ধরনের হেনেস্তা করে ড. মোহাম্মদ ইউনূসকে সরিয়ে দিয়েছেন।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ড. ইউনূসকে সরিয়ে দিয়ে সরকার গ্রামীণ ব্যাংককে দখলে নেওয়ার জন্য নিজেদের চেয়ারম্যান ও পরিচালনা পরিষদ নিয়োগ দিয়েছে। কিন্তু এরপরও সংকট দূর হয়নি।
সরকারকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, এখনও সময় আছে বিদ্বেষ মনোভাব পরিহার করুন। গ্রামীণ ব্যাংক ধ্বংসের জন্য যে নকশা তৈরি করেছেন সেখান থেকে সরে আসুন এবং গ্রামীণ ব্যাংক যাদের হাতে তৈরি হয়েছে তাদের হাতেই তুলে দেওয়া হোক।
সংবাদ সম্মেলনে এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুল হালিম, সিলেট বিভাগীয় বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. সাখাওয়াত হোসেন, বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক আব্দুল লতিফ জনি, আসাদুল করিম শাহীন প্রমুখ।
চাঁদপুর টাইমস : প্রতিনিধি/এমআরআর/২০১৫