‘বাজারে কিছুই কেনার পরিস্থিতি নাই। যা কিছু কিনতে যাই আগুন জ্বলা দাম! এক হাজার টাকা নিয়ে গেলেও বাজার হয় না। চাল, ডাল, তেল, পেঁয়াজ বা মরিচ কিছুই কেনার মতো পরিস্থিতি নেই। বাজারে আসলেই টাকা হাওয়ার মতো উড়ে যাচ্ছে। সবকিছুর দাম বাড়লেও আয় তো বাড়েনি।’ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ঊর্ধ্বগতিতে এভাবেই নাভিশ্বাস ছাড়ছিলেন সালাউদ্দিন ঝন্টু।
শুক্রবার (১৯ মে) সকালে রাজধানীর বাসাবো কাঁচাবাজারে পণ্য কিনতে এসে কথাগুলো বলে নিজের অসহায়ত্ব প্রকাশ করছিলেন এ ক্রেতা।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত সপ্তাহের ৫৫ টাকা কেজি দরের পেঁয়াজ এ সপ্তাহে মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ৮০, ৮৫ এবং ৯০ টাকায়। ৩০ টাকা কেজি দরের আলু বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকায়। কয়েকদিন আগে যে আদা ছিল ১২০ টাকা তা এখন বিক্রি হচ্ছে ২৬০ থেকে ৩০০ টাকায়। এছাড়া বড় সাইজের রসুন ১৫০ টাকা এবং ছোট সাইজের রসুন ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
প্রতি লিটার সয়াবিন তেল ১৯০ টাকা ও খোলা চিনি ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা এবং প্যাকেটজাত চিনি ১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে বাজারে প্যাকেটজাত চিনির সংকট রয়েছে।
সবজির বাজার ঘুরে দেখা গেছে, লাল শাক, পালং শাক, কলমি শাকের আঁটি বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকায়। চাহিদা থাকায় কিছুটা বেড়েছে পুইশাকের দাম।
এদিকে ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৪০ টাকায়। এছাড়া ফার্মের মুরগির ডিমের দাম বেড়ে হয়েছে ১৬০ টাকা ডজন। আর গরুর মাংস যেন সবকিছুকে ছাড়িয়ে বিক্রি হচ্ছে ৭৮০ থেকে ৮০০ টাকায়।
মোহাম্মদ মোশাররফ নামের এক বিক্রেতা বলেন, প্রতিটি জিনিসের দাম বাড়ছে। আমাদের কিছুই করার নাই। ভারত থেকে পেঁয়াজ না আসলে দাম এমনই থাকবে মনে হচ্ছে। কারণ, আমরা বেশি দামে কিনে কম দামে তো বিক্রি করতে পারি না। পাল্লা প্রতি যে হারে দাম বৃদ্ধি করা হয় খোলা বাজারেও কেজি প্রতি তেমন মূল্য বাড়ে।
বাজার করতে আসা শেফালী বেগম বলেন, প্রতিনিয়ত সবকিছুর দাম বাড়ছে। ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার খরচ বাড়ছে। বাজার করতে আসতেই এখন ভয় লাগে। কী কিনবো আর কী বাদ দিব এটাই ভেবে পাই না। সবকিছুতে অতিরিক্ত দাম। মাছ, মাংস, চিনি, লবণ, ডিম কিছুই আর খাওয়ার মতো উপায় নেই।
টাইমস ডেস্ক/ ১৯ মে ২০২৩
চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur