চাঁদপুর শহরের যমুনা রোডে ‘আশা’ সমিতির কিস্তির টাকা নিয়ে স্বামীর আঘাতে জেসমিন আক্তার মণি (৩০) নামের এক গৃহবধূ রক্তাক্ত জখম হয়েছে। আহত জেসমিনের অভিযোগ রক্তাক্ত জখম অবস্থায় তাকে নদীতে ফেলে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে।
৫ মে শনিবার রাত ২ টার দিকে বড় স্টেশন যমুনা রোড এলাকার নদীর পাড়ে এ ঘটনা ঘটে। আহত জেসমিন আক্তার জামতলা এলাকার ছাত্তার গাজীর মেয়ে। সে বর্তমানে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
আহত জেসমিন আক্তার মণি জানায়, প্রায় ৬ বছর পূর্বে যমুনা রোড এলাকার নজরুল ইসলাম প্রধানীয়ার ছেলে শাহআলম প্রধানীয়ার সাথে তার বিয়ে হয়। তাদের ঘরে ১১ মাস বয়সী একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকে শাহআলম প্রধানীয়া ঠিকমতো কাজকর্ম না করায় দু’মাস আগে জেসমিন আক্তার তার স্বামী শাহআলম প্রধানীয়াকে ব্যবসার জন্যে আশা সমিতি থেকে ৭০ হাজার টাকা কিস্তি উঠিয়ে দেয়।
কিন্তু ব্যবসা না করে আমার কিস্তির টাকায় কেনা বক্সখাটে স্বামী অন্য স্ত্রী নিয়ে রাত কাটায়। স্বামী শাহআলম প্রধানীয়ার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ এনে জেসমিন আক্তার মণি আরো জানান, কিস্তির টাকা নিয়ে তার স্বামীর সাথে প্রায় সময় অনেক বাকবিতণ্ডা হতো।
একপর্যায় তিনি স্বামীর অন্যায় অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে চাঁদপুর মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। সে সূত্র ধরেই ঘটনার রাতে তার স্বামী শাহআলম প্রধানীয়া ও তার চাচাতো ভাই মাহাবুব প্রধানীয়া, সাকিল প্রধানীয়া ও অজ্ঞাত আরো দু’জন মিলে টাকা দেয়ার নাম করে জেসমিনকে ডেকে নিয়ে এলোপাথাড়ি মারধর করে রক্তাক্ত জখম করে গুরুতর আহত করে।
এক পর্যায়ে তারা তার হাত পা ধরে নদীতে ফেলে হত্যার চেষ্টায় চালালে জেসমিন আক্তারের ডাক চিৎকারে পাশ্ববর্তী লোকজন এগিয়ে আসলে আঘাতকারীরা পালিয়ে যায়।
ঐ অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করান। এ ব্যাপারে শাহআলম প্রধানীয়ার সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেস্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট