এক মাস ধরে বন্ধ চাঁদপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমি, মঞ্চে ফিরতে চায় সংস্কৃতি কর্মীরা

এক মাসেরও অধিক সময় ধরে বন্ধ রয়েছে চাঁদপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমির সকল কার্যক্রম। যার কারণে সংস্কৃতি কর্মকান্ড করতে পারছেননা চাঁদপুরের সংস্কৃতি প্রেমীরা। যেখানে প্রতিদিনই চাঁদপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মুখরিত ছিলো বিভিন্ন সংগঠনের সংস্কৃতিকর্মীদের পদচারনা। প্রায় সময় মঞ্চস্থ হতে কোন না কোন সংগঠনের মঞ্চ নাটক, নৃত্য এবং গান। সেখানে চাঁদপুরের এই প্রধানতম বিনোদন কেন্দ্রটি বন্ধ থাকায় সেটি এখন শুনসান নিরবতা। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিজয় পর থেকেই শিল্পকলা একাডেমির মুল গেটেই ঝুলছে তালা। তাই নিয়মিত সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড না করতে পেরে হতাশ হয়ে পড়ছেন বিভিন্ন সংগঠনের সাংস্কৃতিককর্মী ও শিল্পীরা।

জানা যায়, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের মধ্যদিয়ে বিজয় লাভ করার পর সারা বাংলাদেশের সাথে চাঁদপুরেও ভাংচুর এবং ধংসযজ্ঞের প্রভাব পরে। চাঁদপুরের বিভিন্ন সংগঠন ও কয়েকজন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিবর্গ সরকারের পক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচীতে অংশ নেয়াকে কেন্দ্র করে গত ৫ আগস্টের পর চাঁদপুর শিল্পকলা একাডেমিতে ভাংচুর ও লুটপাট চালায় দুস্কৃতকারীরা। লুটপাট করার কারনে শুধুমাত্র শিল্পকলার ভবনটি ছাড়া সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড পরিচালনা করার জন্য তেমন কোন সরঞ্জামদি নেই। তাই অচল হয়ে পড়েছে চাঁদপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমি। এদিকে ভাংচুর ও লুটপাটের পরের দিনই জেলা প্রশাসনের লোকজন সরজমিনে তা পরিদর্শন করেন। পরে শিল্পকলা একাডেমির কালচারাল অফিসার শিল্পকলা একাডেমির গেটে তালা লাগিয়ে দেন।
জানা গেছে চাঁদপুর জেলা শহরে নৃত্য, নাট্যসংগঠন, প্রায় অর্ধশত শতাধিক সাংস্কৃতিক সংগঠন রয়েছে। শিল্পকলার এত বড় ক্ষতির কারনে মঞ্চে ফিরতে পারছেন সংগঠন গুলোর শিল্পীরা।

এ বিষয়ে কথা বলতে চাঁদপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমির কালচারাল অফিসার দিতি সাহার ব্যবহৃত নাম্বারে একাধিক বার কল দিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি।

পরে চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বশির আহমেদ এর সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, দুষ্কৃতকারীরা শিল্পকলায় ব্যাপক লুটপাট করেছে। এতে অবকাঠামো ছাড়া আর কিছুই অবশিষ্ট নেই। শিল্পকলার বিভিন্ন সম্পদের অনেক ক্ষতি হয়েছে। সাংস্কৃতিক কার্যক্রম পরিচলনা করার জন্য শিল্পকলার অনেক উপকরণ এখন নেই। সরকার থেকে প্রয়োজনীয় বাজেট পেলে সংস্কার করে শিল্পকলা একাডেমি পুনরায় চালু হবে। আমরা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিতভাবে সম্পদের ক্ষয়ক্ষতির তালিকা পাঠিয়েছি।

প্রতিবেদক: কবির হোসেন মিজি, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

Share