রাজশাহী মহানগরীর মতিহারের বুধপাড়া এলাকার একটি বাড়িতেই ২৭টি গোখরা সাপ মারা হয়েছে। এই নিয়ে ওই পরিবারে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
মঙ্গলবার (০৪ জুলাই) মধ্যরাতে এক এক করে এই সাপগুলো মারা হয়। বুধবার (০৫ জুলাই) সকাল থেকে মৃত সাপ দেখতে আশপাশের লোকজন ওই বাড়িতে ভিড় জমাচ্ছেন।
ছোট্ট একটা চাকরি করেন মাজদার। সারাদিন কাজ শেষে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরেন। খাওয়া-দাওয়া শেষে স্ত্রী ঘুমিয়ে পড়েন এক ঘরে। তবে আরেক ঘরের বিছানাতেই বসে টিভি দেখছিলেন মাজদার ও তার সাত বছর বয়সী ছেলে সিয়াম।
হঠাৎই চোখ আঁটকে গেল তার। দেখেন, ঘরের মধ্যে সাপ! খানিকটা ভয় পেয়েও গিয়েছিলেন। বুদ্ধি হারানোর অবস্থা মাজদারের। পরে ঘরের কোণে রাখা লাঠি ও টর্চ লাইট হাতে নিয়ে মারতে গেলে সাপটি লুকিয়ে যায় ঘরের আলমারির পেছনে। এর পরই একে একে মারা পড়লো ২৭টি গোখরো সাপ। বুধবার সকালে এ ঘটনা জানাজানি হলেও সকাল থেকে আশেপাশের লোকজন ভিড় জমাতে থাকে সাপগুলো দেখতে।
ওই বাড়ির মালিক মাজদার আলী বাংলানিউজকে বলেন, রাত ১২টার দিকে তিনি ঘরে বসে টিভি দেখছিলেন। এ সময় ঘরের মধ্যেই একটি সাপ দেখতে পান। কিন্তু মারতে গেলে সেটি আলমারির আড়ালে লুকিয়ে যায়। পরে আলমারি সরিয়ে দেখতে পান আরও তিনটি সাপ বসে আছে। এর পরই মাজদার তার ভাইদের ডাকাডাকি শুরু করেন। পরে তিনটি সাপ মারা হয়। এরপর ওই ঘরের গর্ত খুঁড়ে খুঁড়ে মোট ২৭টি সাপ মারেন।
তিনি বলেন, বাড়িটি মাটির তৈরি এবং অনেক পুরনো। তাই হয়তো সাপ বাসা বেঁধেছে। বাড়িতে আরও সাপ আছে বলে তার ধারণা। তবে এখন আতঙ্কে রয়েছে তার পরিবার। সাপের দখলে চলে গেছে পৈত্রিক বাড়িটি এম ধারণায় বাড়ির সবাই আতঙ্কিত। তাই তার স্ত্রী ও সন্তান এখন আর বাড়িতে থাকতে চাচ্ছে না। ভয়ে ওই ঘরেও আর কেউ ঢুকছেন না। কারণ, যে সাপগুলো মারা পড়েছে, সবই বাচ্চা। দৈর্ঘ্য আড়াই ফুট।
মাজদারের ধারণা, বাড়িতে এখনো আরও সাপ থাকতে পারে। বিশেষ সাপের বাচ্চাগুলোর বাবা-মা তো রয়েছেই। তবে সাপুড়িয়ার খোঁজে রয়েছেন তিনি।
একই গ্রামের সাইদুর রহমান জানান, ওই ঘরে অসংখ্য ইঁদুরের গর্ত রয়েছে। আর সেই গর্তগুলোতে বাসা বেঁধে সাপ। রাত ১১টা থেকে ৪টা পর্যন্ত ঘরের মধ্যে বিভিন্ন গর্ত শাবল দিয়ে খুঁড়ে খুঁড়ে সাপগুলো মারা হয়েছে।
ওই ঘরের কয়েকটি দেওয়াল গর্তের সন্ধান পান। পরে গর্তগুলোতে পানি দিয়ে রাখেন। আরও সাপ থাকলে বেরিয়ে আসার সম্ভাবনা আছেও তিনি জানান।
নিউজ ডেস্ক
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ২: ০০ পিএম, ৫ জুলাই ২০১৭, বুধবার
ডিএইচ
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur