হাজীগঞ্জ

এক বছর পূর্ণ না হতেই হাজীগঞ্জ-রামগঞ্জ মহাসড়কের বেহাল দশা

বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় থাকাকালে ২০০৪ সালে প্রথম সংস্কার হয় হাজীগঞ্জ-রামগঞ্জ মহাসড়ক। প্রায় এক যুগ পর ২০১৪ সালে এসে পুনরায় মহাসড়কটি সংস্কার হয়।

সে সময়ে রানা বিল্ডার্স নামের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান তড়িগড়ি করে কাজ শেষ করায় বছর যেতে না যেতে সড়কটির কিছু কিছু স্থানে ছোট ছোট গর্ত দেখা দেয়। হাজীগঞ্জ-রামগঞ্জ ২০ কিলোমিটার মহাসড়কের চাঁদপুর অংশের ১০ কিলোমিরা এলাকার অধিকাংশ স্থানে বেহাল দশা সৃষ্টি হয়েছে।

সড়কের পূর্ব সাইডের পিজ পেটে দুই ভাগ হয়ে গেছে। কিছু স্থানে গোলাকার গর্তে পরিণত হয়ে বর্ষার পানি জমতে জমতে বড় আকারের কূপ সৃষ্টি হয়েছে।

মাঝে মধ্যে চাঁদপুর সড়ক বিভাগের লোকজন আলাদা ইটের কংক্রিট গর্তগুলো ভরাট করে দিলেও তা কিছু দিন পর আরো বড় ধরনের গর্তে রুপ নেয়। এতে করে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন যানবাহন গর্তে পড়ে আটকা পড়ে। বড় ধরণের ট্রাক দিয়ে গাড়িগুলো তাৎক্ষনিক টেনে উঠাতে দেখা যায়।

বর্তমানে প্রতিনিয়িত বৃষ্টির পানি জমে সড়কের গর্তগুলো একাকার হয়ে গেছে। গর্তের পানি আর সড়কের পিচ লেভেল হয়ে যাওয়ায় সড়কে চলাচলরত বড় ট্রাক বাসসহ বিভিন্ন যানবাহন গর্তে নিমর্জিত হয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা পড়ে থাকতে দেখা যায়।

নামমাত্র সংস্কার হলেও তা কয়েদিন পর যেই হেই বেহাল অবস্থায় পড়ে থাকে। কর্তৃপক্ষের পরে আর কোন নজর থাকে না বলে ভুক্তভোগীদের অভিযোগ।

চাঁদপুর অংশের ১০ কিলো হাজীগঞ্জ বাজার থেকে ফরিদগঞ্জ অংশের ঘণিয়া ব্রিজ পর্যন্ত। এর মাঝে জিয়ানগর এলাকা পার হয়ে সেলিম ব্রিক ফিল্ড থেকে শুরু করে ইঞ্জি.মমিনুল হক ব্রিক ফিল্ড পর্যন্ত, বেলচোঁ বাজার স্থানে, মনতলা বাজার থেকে চালিয়াপাড়া পর্যন্ত ও সবচেয়ে বেশি খারাপ অংশ হচ্ছে মানুরী ব্রিক ফিল্ড থেকে ফকির বাজার পর্যন্ত এসব স্থানের অংশ বিশেষ গর্তে নিমর্জিত হয়ে নাজেহাল অবস্থায় পড়ে আছে।

এখানকার স্থানীয় ক’জন গাড়ি চালকের সাথে আলাপকালে তাঁরা চাঁদপুর টাইমসকে জানান, ‘সড়কটি বেশি দিন হয়নি সংস্কার হয়েছে, অথচ বর্তমানে এমন অবস্থা যে পথে পথে গর্তে নিমর্জিত হয়ে যান চলাচলে বেঘাত ঘটছে।’

ঠিকাদারদের কাজের ক্রটির কারণে এমন দশা সৃষ্টি হয়েছে বলে দাবি করেন তারা।

সড়কটিতে সংস্কার কাজে নিয়োজিত অবস্থায় কথা হয় হাজীগঞ্জ সড়ক বিভাগের দায়িত্বরত কর্মকর্তা মো.শাহআলমের সাথে।

এ সময় তিনি চাঁদপুর টাইমসকে বলেন, ‘সড়কটি এমন পরিণতির জন্য দায়ি বালি ও ব্রিক ফিল্ড ব্যবসায়ীরা। তাদের ট্রাকগুলো লোড অবস্থায় চলাচলের কারণে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।’

তবে পূর্বে কাজের কোনো অনিয়ম হয়নি বলে চাঁদপুর টাইমসের কাছে দাবি করেন এ কর্মকর্তা।

: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ৩:০০ এএম, ৩১ আগস্ট ২০১৬, বুধবার
ডিএইচ

About The Author

প্রতিবেদক- জহিরুল ইসলাম জয়, হাজীগঞ্জ
Share