এক বছরে ১ লাখ ১৬ হাজার ৫৯৬ জনকে চিকিৎসা সেবা

গত ২০২২ সালে ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ব্যাপক কার্যক্রম হয়েছে। বেশ কয়েকটি বিভাগে ভালো কাজ হয়েছে। একটা সময় এলাকায় সংক্রামক রোগের ভয়াবহতা ছিলো খুব বেশী। ভালো ব্যবস্থাপনার কারণে সংক্রামক রোগ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে সরকার। ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গত বছর অসংক্রামক রোগ নিয়ে ব্যাপক কাজ করেছে। বিশেষ করে ডায়াবেটিকস, এজমা, উচ্চ রক্তচাপ, জরায়ু ক্যান্সার রোগীসহ এক বছরে প্রায় ১লক্ষ ১৬ হাজার ৫শ’৯৬ জনকে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালে ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নরমাল ডেলিভারী হয়েছে ১৫২ জনের, সিজার হয়েছে ৩৪ জনের, ভায়া (জরায়ু মুখো ক্যান্সার) নিয়ে কাজ করা হয়েছে ১৩৫৯ জনের, কে এম সি ১০ জন, ডেঙ্গু ৩১ জন, ‘কোভিড ১৯’ ১৯ জন, এন.এস. ইউ ৭২ জন, আই.এম.সি.আই ৭২০০ জন, এনসিডি (অসংক্রামক রোগ) ১৯২৩ জন, মাইনর সার্জারী ২১৪১ জন, প্যাথলজী হয়েছে ৩৮৫৬, আল্ট্রাসনোগ্রাম হয়েছে ৯৩ জন, ইসিজি হয়েছে ২১৪, কফ পরীক্ষা হয়েছে ৫৫৬, এক্স-রে হয়েছে ৯১৭ জনের। এ.এন.সি মানে প্রসব পূর্ববতর্ী সেবা ১ম ধাপ ৯৯২ জন, ২য় ধাপে ৫১৬ জন, ৩য় ধাপে ২৯৫ জন এবং সর্বশেষ বা ৪র্থ ধাপে ২৯০ জনকে সেবা প্রদান করা হয়েছে। প্রসব পরবতর্ীতে দুই ধাপে মোট ২৭১ জনকে সেবা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বহিঃবিভাগে গত এক বছরে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে ৭৫৭৩৫ জনকে, আন্তঃবিভাগে চিকিৎসা নিয়েছেন ৪৬০১ জন এবং জরুরী বিভাগে চিকিৎসা সেবা নিয়েছে ১৫২৯৯ জন।

এছাড়া বেশ কয়েক বছর ধরে এখানে হোমিওপ্যাথি এবং দন্ত চিকিৎসা হচ্ছে। এ সেবা পেয়ে সাধারণ মানুষ অনেক খুশি। ঔষধ সংকট ছাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স অন্যান্য বিভাগে ভালোই কাজ করেছে।

এ বিষয়ে উপজেলা মেডিকেল অফিসার (আর.এম.ও) ডা. মোজ্জামেল হোসেন বলেন,‘আমরা সকল ধরনের রোগীদেরকে সবোর্চ্চ চিকিৎসা সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি। বর্তমানে এই হাসপাতালে সিজারিয়ান না থাকা স্বত্তেও আমরা সিজার করাচ্ছি। সেবার মান অতিতের যেকোনো সময়ের চাইতে বর্তমানে অনেক ভালো রয়েছে। মেডিকেলের কর্তব্যরত সকল চিকিৎসকগণ রোগিদেরকে অতিতের চেয়ে বেশী সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছে।’

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আশরাফ আহমেদ চৌধুরী চাঁদপুর টাইমসকে বলেন, বিগত বছর চেষ্টা করেছি উপজেলাবাসীকে ভালো সেবা দিতে। সেবার মান যেমন বেড়েছে, চিকিৎসকের সংখ্যাও বেড়েছে। পরীক্ষা নিরিক্ষার জন্যে নতুন নতুন মেশিন সংযোজন হয়েছে। সবার সহযোগিতা নিয়ে ২০২৩ সাল আরো সুন্দরভাবে কাটাতে চাই।’ তিনি আরো বলেন, ২০২১ সালে এ মেডিকেলটি ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নিত হয়েছে। কিন্তু ডাক্তারদের সংকট না থাকলেও ৩য়, ৪র্থ শ্রেণির কিছু কর্মচারির সংকট রয়েছে।’

প্রতিবেদক: শিমুল হাছান, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

Share