রাজধানীর অন্যতম বৃহৎ গরুর হাট আফতাব নগর। এ হাটে বিক্রির জন্য ৫ হাজারের মতো গরু তোলা হয়েছে। গরুর দাম হাঁকানো হচ্ছে সর্বনিম্ন ২৩ হাজার থেকে ১৮ লাখ টাকা পর্যন্ত। সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৮০ হাজার টাকা দামের গরু।
বাজারে ১২ থেকে ১৫ লাখ টাকার বেশ কয়েকটি গরু থাকলেও অস্ট্রেলিয়ান দু’টি গরুর দাম হাঁকানো হচ্ছে ১৮ লাখ টাকা করে। বাজারে এ দুটোই এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ দাম হাঁকানো গরু।
মঙ্গলবার দুপুর থেকে সন্ধ্যার আগ পযন্ত আফতাব নগর ঘুরে দেখা গেছে এ বাজারে বিক্রির জন্য অনেক গরু তোলা হলেও বেচা-বিক্রি সে তুলনায় খুবই কম। তবে বাজারের ইজারাদার ও গরুর বেপারীদের কাছ থেকে জানা গেছে গতকালের চেয়ে আজকে বিক্রি অনেকটাই বেশি। সন্ধ্যার পর বিক্রি আরো বেড়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তারা। তথ্য কেন্দ্র থেকে জানা গেছে সকাল থেকে এ পযর্ন্ত ১২৩টির মত গরু বিক্রি হয়েছে।
আজ সকাল থেকে বাজারে যে গরুগুলো বিক্রি হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে বেশিরভাগ গরুর দাম ৫০ থেকে ৮০ হাজার টাকার মধ্যে। এছাড়া বিভিন্ন দামে গরু বিক্রি হতে দেখা গেছে। তারমধ্যে ছিল ২৩ হাজার টাকা থেকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা দামের বিভিন্ন গরু।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতিটি গরুর বিক্রির পেছনে হাসিল আদার করা হচ্ছে শতকরা ৫ টাকা করে। হাসিল ঠিকমত দিচ্ছে কিনা তা দেখার জন্য আছে ২ হাজার ভল্টিয়ার। এরা গরুর হাসিল চেক করেন, জটলা দূর করেন, চোর-বাটপার, পকেটমার, মলম কিংবা অজ্ঞানপার্টি পাহারা দেন, গরুর ব্যাপারীদের বাঁশ যোগান দেন, কেউ কোনো বিপদে পড়লে সহযোগিতা করেন।
এই ২ হাজার ভলান্টিয়ারদের আছে ৫০ জন দলনেতা। ভল্টিয়ার মো. জিয়াউর রহমান বলেন, ‘আমরা তিন সিফটে এই ডিউটি করি। প্রতিটি হাসিল আদায়কারী কাউন্টারের সামনে ৩ থেকে চারজন করে ভল্টিয়ার থাকতে হয়।’ ক্রেতা সাপেক্ষে রাতদিন ২৪ ঘন্টা আফতাবনগর বাজারে গরু বিক্রি করা হচ্ছে বলে জানালেন গরু বেপারী ও ভলেন্টিয়াররা। তারা জানান ঈদের দিন সকাল বেলা অর্থাৎ ঈদের নামাজের আগ পযর্ন্ত এ বাজারে গরু পাওয়া যাবে।
গরু বিক্রেতা আরব আলী বলেন, ‘কাস্টমার গরুর কিনতে এসে এমন দাম বলতাছে যা আমাদের কেনা দামের চাইতেও অনেক কম।’ ঈদের এখনও কয়েকদিন বাকি থাকায় ক্রেতারা হাতে দাম ধরে রেখে দামদর করছেন বলেও মনে করেন গরু বিক্রেতারা।
দাম কম বললেও গরুর বেপারীরা মোটেও হতাশ নন। তারা মনে করছেন, ঈদের এখনও বাকি আছে আর বিক্রি করার সময় পাওয়া যাবে। কারণ এখন অনেকে গরুর দাম দেখতে আসলেও শেষের দিকে তারাই বাজারে এসে গরু কিনবেন।বাজারে দেশের বাইরের গরু, বিশেষ করে অস্ট্রেলিয়ান, ভারতীয় ও মিয়ানমারের কিছু গরু থাকলেও বেশিরভাগ গরুই দেশি।
এ গরুগুলো দেশের বিভিন্ন খামার থেকে আনা হয়েছে বলে জানা গেছে।পাবনা সুজানগর গরুর খামার থেকে তিনটি গরু বিক্রি করতে আসছেন আশিক প্রামাণিক। তিনি বলেন, ‘তিনটা গরু নিয়ে আসছি।
শনিবার থেকে আজ পযর্ন্ত একটা গরু ও বিক্রি হচ্ছে না। প্রতিদিনে একেকটা গরুর পিছনে ৩০০ টাকা করে খরচ, তার উপরে আছে নিজের খরচাপাতি। এর আগে ৮টা গরু বিক্রি করেছি তাতে লোকশান হয়েছে ২ হাজার টাকা।’তিনি বলেন, ‘বাজার এখনও নরম। যে দামে কিনছি তার চেয়ে অনেক কম বলছে ক্রেতারা। এখনও সময় আছে। আশাকরি বাজার গরম হলে দাম ও পাবো।’
|| আপডেট: ০৬:৫৫ অপরাহ্ন, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫, বুধবার,চাঁদপুর টাইমস : প্রতিনিধি/ এমআরআর/২০১৫
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur