একটি জাতীয় পরিচয়পত্রের বিপরীতে একজন গ্রাহক সর্বোচ্চ ১৫টি মোবাইল সিম ব্যবহার করতে পারবেন। অতিরিক্ত সিমগুলো ৩১ ডিসেম্বরের পর থেকে বন্ধ করে দেবে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।
মঙ্গলবার এ তথ্য জানিয়েছেন বিটিআরসি’র সচিব সারওয়ার আলম।
তিনি জানান, ‘একজন গ্রাহক একটি জাতীয় পরিচয়পত্রের বিপরীতে যেকোনো মোবাইল ফোন অপারেটর থেকে অথবা সব অপারেটর মিলিয়ে সর্বোচ্চ ১৫টি সিম ব্যবহার করতে পারবেন। সরকারের উচ্চ পর্যায়ের নির্দেশনায় বিটিআরসি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
‘সব মোবাইল অপারেটর কোম্পানির প্রধান নির্বাহীদের এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে,’ জানান সচিব।
এর আগে একটি জাতীয় পরিচয়পত্রের বিপরীতে সর্বোচ্চ ২০টি সিম নেওয়া যাবে বলে সিদ্ধান্ত দিয়েছিল ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ। তারও আগে পাঁচটির বেশি সিম নিবন্ধন নিষিদ্ধ ছিল।
অপারেটরদের কাছে পাঠানো বিটিআরসি’র নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ‘এখন থেকে গ্রাহকপ্রতি পোস্ট পেইড ও প্রি-পেইড মিলিয়ে সর্বোচ্চ সিম/রিমের (সব অপারেটর) সংখ্যা ১৫টি নির্ধারণ করা হল। ১৫টির অতিরিক্ত সিম/রিম অবৈধ বলে গণ্য হবে।’
তবে কর্পোরেট গ্রাহকদের বিষয়ে বিটিআরসি জানিয়েছে, ‘এ ক্ষেত্রে সিম সংখ্যা নির্ধারণ করে দেওয়া বাস্তব সম্মত নয়। তাই কোনো প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সিম/রিম কেনার জন্য অনুমোদিত ব্যক্তি এ সীমার আওতামুক্ত থাকবেন।’
যেসব গ্রাহকদের ১৫টির বেশি সিম রয়েছে তাদের আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সংশ্লিষ্ট মোবাইল অপারেটরের কাস্টমার কেয়ার সেন্টারে গিয়ে অতিরিক্ত সিম নিষ্ক্রিয় করারও অনুরোধ করেছে বিটিআরসি। (ইউএনবি)
নিউজ ডেস্ক
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ৬:১০ পিএম, ০৬ ডিসেম্বর ২০১৭, বুধবার
ডিএইচ