সিম নিবন্ধন সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করলেন তারানা হালিম। সম্প্রতি সিম নিবন্ধন সম্পর্কে সরকারি দলের সাংসদ হাবিবুর রহমান মোল্লার প্রশ্নের জবাবে তারানা হালিম জানান, একটি পরিচয়ের বিপরীতে ৬০ হাজার নিবন্ধিত সিমের তথ্য পাওয়া গেছে।
এর ফলে মোবাইল ফোন ব্যবহার করে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, চাঁদাবাজি, নারীদের উত্ত্যক্ত করা, মাদক ব্যবসা, মানব পাচার, অবৈধ ভিওআইপি করা সম্ভব হচ্ছিল। এ অবস্থায় মোবাইল ফোনের আওতায় সংগঠিত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা কঠিন।
বর্তমানে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে গ্রাহক সিমের মালিকানা স্বীকার করছেন এবং জাতীয় তথ্যভাণ্ডারে রাখা ব্যক্তির পরিচয়ের সঙ্গে মিলিয়ে যাচাই করা সম্ভব হচ্ছে, যা অপরাধ ও অপরাধীদের শনাক্ত করতে সাহায্য করবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, এই পদ্ধতিতে আঙুলের ছাপ সংগ্রহ করা হচ্ছে না। এমনকি নতুন করে তথ্যও সংগ্রহ করা হচ্ছে না। সংগ্রহ করা তথ্য কেবল জাতীয় পরিচয়পত্রের সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হচ্ছে।
এটি একটি বাইনারি (দুই ভাগে বিভক্ত) কোড, যা ইমপ্লান্ট করা যায় না। এ বিষয়ে শত প্রোপাগান্ডার মধ্যেও মন্ত্রণালয়, বিটিআরসি ও মোবাইল ফোন কোম্পানিগুলোর সম্মিলিত প্রচেষ্টা সফল হয়েছে। এর ফলে একটি জাতীয় পরিচয়ের বিপরীতে হাজার হাজার সিম নিবন্ধনের অনিয়ম বন্ধ হবে।
প্রসঙ্গত, সিম পুনঃনিবন্ধন শুরুর আগে গত বছর ২২ সেপ্টেম্বর চাঞ্চল্যকর এক তথ্য প্রকাশ করেছিলেন টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম। সিমের নিবন্ধন যাচাই করতে গিয়ে একটি ‘ভুয়া’ জাতীয় পরিচয়পত্রের বিপরীতে ১৪ হাজার ১১৭টি সিম তোলার নজির পাওয়া গেছে। তবে এবার আরো বড় চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করলেন তারানা হালিম।