একের পর এক পুলিশ পরিচয়ে অপহরণ : সড়ক অবরোধ

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ মেইন বাসস্ট্যান্ড থেকে বৃহস্পতিবারে আবারও ডিবি পুলিশ পরিচয়ে মাহবুব হাসান লিমন (১৮) নামের এক এইচএসসি পরীক্ষার্থীকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।

প্রতিবাদে এলাকার শিক্ষার্থী ও শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা ৪০ মিনিট ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে। চার ঘন্টা পর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে লিমনকে হাত পা বাধা অবস্থায় ঝিনাইদহ শহর থেকে উদ্ধার করা হয়।

মাহবুব হাসান লিমন জানান, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তিনি মাহাতাব উদ্দীন ডিগ্রী কলেজ কেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে বের হন।

তিনি শহরের নীমতলা ব্রীজের উপর পৌঁছালে একটি সাদা মাইক্রো তাকে গাড়িতে করে তুলে নিয়ে যায়। এদিকে লিমনকে তুলে নিয়ে যাওয়ার খবর পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছালে পরীক্ষার হল থেকে বেরিয়ে শিক্ষার্থী বিক্ষুদ্ধ হয়ে উঠে। দুপুর একটা থেকে ৪০ মিনিট সড়ক অবরোধ করে রাখে। প্রচন্ড গরমে রাস্তার উভয় দিকে শত শত বাস ট্রাক আটকে যায়।

ফলে প্রচন্ড গরমে বেকায়দায় পড়ে যাত্রীরা। খবর পেয়ে ঝিনাইদহ র‌্যাব ও কালীগঞ্জ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি শান্ত করে সড়ক যোগাযোগ স্বাভাবিক করে।

এদিকে দুপুর ১২টার দিকে ঝিনাইদহ শহরের চাকলা পাড়ার একটি বাড়ির পিছনে চোখ ও হাত বাধা অবস্থায় লিমনকে ফেলে রেখে যায়।

লিমন শহীদ নুর আলী কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র ছিল। বৃহস্পতিবার তার বায়োলজি পরীক্ষা ছিল। কিন্তু অপহরণ হওয়ার কারণে সে আজকের পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি। সে কালীগঞ্জ শহরের সান্তনা ক্লি¬নিকের মালিক গোলাম রব্বানির ছেলে।

গ্রামের বাড়ি কালীগঞ্জ উপজেলার হাজিপুর মুন্দিয়া। তবে কে বা কেন তাকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল তা কেউ বলতে পারেনি। উদ্ধার হওয়া লিমন সাংবাদিক জাহিদুর রহমান তারিক কে আরো জানান,

আমাকে পুলিশের পরিচয় দিয়ে মাইক্রোতে তুলে নিয়ে যায়। এরপর চোখ বেধে ফেলে। তবে আমার জ্ঞান ছিল। তারা আমাকে কথা বলতে নিষেধ করে।

এরপর ঝিনাইদহের চাকলাপাড়ায় ফেলে রেখে যায়। এর থেকে বেশি কিছু বলতে চাচ্ছে না লিমন। তার চোখে মুখে আতঙ্কের রেখা দেখা যাচ্ছিল।

কালীগঞ্জ থানার ওসি আনোয়ার হোসেন অপহরণের কথা স্বীকার করে জানান, আমি শুনেছি ঝিনাইদহে অজ্ঞান অবস্থায় লিমনকে পাওয়া গেছে। তবে পুলিশ এ ঘটনার সাথে জড়িত নয় বলে তিনি জানান।
প্রসঙ্গত, গত ১ মাসে কালীগঞ্জ থেকে বেশ কয়েকজন ছাত্র অপহৃত হয়েছে। এরমধ্যে ৩ জনের গুলিবিদ্ধ লাশ  উদ্ধার করা হয়েছে।

জাহিদুর রহমান তারেক, ঝিনাইদহ করেসপন্ডেন্ট [/author]

Share