আন্তর্জাতিক

একেবারেই ভিন্ন লক্ষণ, তারপরেও করোনা আক্রান্ত জুলিয়া

করোনার লক্ষণ হিসেবে আমরা সাধারণত সর্দি, জ্বর, কাশি ,শ্বাস কষ্টের কথা জানি। তবে মানুষ ভেদে করোনার লক্ষণ হতে পারে ভিন্ন ভিন্ন। সাধারণ কিছু লক্ষণ ছাড়াও করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হলে একজন রোগীর দেখা দিতে পারে ভিন্নধর্মী কিছু লক্ষণ।

২০ বছর বয়সী এক মার্কিন নারী করোনা থেকে সুস্থ হয়ে ওঠার পর তার লক্ষণ গুলো প্রকাশ করেছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে শেয়ার করেছেন করোনার ভিন্নধর্মী লক্ষণ।

প্রথমে স্বাভাবিক ঠান্ডা লেগেছিলো জুলিয়ার। ফেব্রুয়ারীর ২৯ তারিখে তার শরীরে ব্যাথা শুরু হয়। সেই সাথে মাথা ব্যাথা, গলা জ্বলা, কানে শুনতে না পাওয়ার সমস্যা ছিলো তার। শরীরের তাপমাত্রা ছিলো ১০০.২ ডিগ্রি ফারেনহাইট। এরপর মার্চের ৩ তারিখ। কানে তখনও কিছু শুনছে পারছিলেন না তিনি। সেই সাথে কোন কিছুর ঘ্রাণ নেওয়া বা স্বাদ নেওয়ার ক্ষমতাও ছিলো না তার। তবে কোন ধরণের কফ বা নাকে পানি আসার মত সমস্যা ছিলো না জুলিয়ার। দিনের পর দিন ক্রমাগত বাড়তে থাকে জুলিয়ার মাথা ব্যাথা। যার জন্য স্বাভাবিকভাবে প্যারাসিটামল ওষুধ খেয়েছিলেন তিনি।

এরপর বিশ্রামের জন্য মার্চের ৫ থেকে ১৩ তারিখে সেল্ফ কোয়ারেন্টিনে যান জুলিয়া। তিনি বলেন ততদিনে আমার সব সমস্যার সমাধান হতে শুরু করেছে, আমি কানে শুনতে পারছি, আমার ঘ্রাণ ইন্দ্রিয়ও কাজ করছে। সেই সাথে মুখের স্বাদও ফিরে এসেছে।

এরপর ১৩ তারিখের পর পরিবারের সদস্যদের অনুরোধে করোনা পরীক্ষা করান তিনি। মেডিক্যাল পরীক্ষার ফলাফলে করোনা পজেটিভ আসে তার। অবাক হয়ে যান জুলিয়া। কারণ করোনা আক্রান্ত রোগীর মধ্যে যেসব সাধারণ লক্ষণ প্রকাশ পাওয়ার কথা তেমন কোনটিই ছিলো না তার। তবুও কোভিড-১৯ পজিটিভ আসে তার। এরপর পর্যাপ্ত চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে ওঠেন তিনি।

ঢাকা ব্যুরো চীফ,২৩ মার্চ ২০২০

Share