করোনার কারণে দীর্ঘদিন পিছিয়ে যাওয়া ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে কেন্দ্রীয়ভাবে ভর্তির জন্য প্রথম পর্যায়ের আবেদন শুরু হচ্ছে আগামীকাল রোববার সকাল সাতটা থেকে। চলবে ২০ আগস্ট পর্যন্ত। এবার কেবল অনলাইনে ভর্তির আবেদন নেওয়া হবে।
ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মু.জিয়াউল হক এই তথ্য জানান।
প্রথম পর্যায়ের পর আরও দুই দফায় আবেদনের সুযোগ রাখা হয়েছে। অবশ্য তখন আবেদন খুবই কম থাকে। এবারও ঢাকা বোর্ডের অধীনে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহায়তায় এই ভর্তির কাজটি হচ্ছে।
www.xiclassadmission.gov.bd এই ঠিকানায় গিয়ে আবেদন করা যাবে। কোন কলেজে কত আসন এবং আবেদনের ন্যূনতম যোগ্যতা কী— তাও জানা যাবে এই ঠিকানায়।
ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা অনলাইনে কমপক্ষে ৫টি ও সর্বোচ্চ ১০টি কলেজ বা সমমানের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য পছন্দক্রম দিয়ে আবেদন করতে পারবে। এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে একজন শিক্ষার্থী কোন প্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য মনোনীত হলো, তা ঠিক করা হবে।
এবার ৫ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধার কোটা ছাড়া অন্য কোটা থাকছে না। তবে প্রতিবন্ধী, বিকেএসপির শিক্ষার্থী, খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রমে জাতীয় পর্যায়ে অসামান্য সাফল্যের (পুরস্কারপ্রাপ্ত) অধিকারী শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
আবেদন ও যাচাই-বাছাই শেষে আগামী ১৩ থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর ভর্তির কাজটি করা হবে।
গত ৩১ মে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হলেও করোনা মহামারির কারণে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি আটকে গিয়েছিল। এবার ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড এবং মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ড মিলিয়ে ১৬ লাখ ৯০ হাজার ৫২৩ জন পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছে। মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৩৫ হাজার ৮৯৮ জন পরীক্ষার্থী। আর একাদশ শ্রেণিতে সারা দেশে ভর্তির জন্য আসন আছে প্রায় ২২ লাখ। তবে সংকট হলো, ভালো কলেজগুলোতে আসন কম।
গত মে মাসের শুরুর দিকে এসএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ করে ১০ মে থেকে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য আবেদন নেওয়ার পরিকল্পনা ছিল। সেই অনুযায়ী ১ জুলাই থেকে ক্লাস শুরুর কথা ছিল। কিন্তু করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে পুরো শিক্ষাপঞ্জি এলোমেলো হয়ে গেছে।
২০১৫ সাল থেকে ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের মাধ্যমে কেন্দ্রীয়ভাবে একাদশ শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হচ্ছে।
ঢাকা ব্যুরো চীফ, ৮ আগস্ট ২০২০