যে বয়সে কাঁধে ব্যাগ ও বই-খাতা নিয়ে স্কুলে যাওয়ার কথা ছিল সে বয়সে নিস্পাপ শিশু রাজনকে গাছের সাথে বেঁধে রাখছে তার পরিবার। কাছে গিয়ে দাঁড়ালে ফ্যাল ফ্যার করে তাকিয়ে থাকে। যা দেখে যে কারোরই ভিতরটা নাড়া দিয়ে উঠবে।
পরিবারের দাবি রাজনকে ছেড়ে দিলে এদিক সেদিক অজানা পথে চলে যায়। কিংবা গ্রামের অন্য শিশুদের কামড়ে মারাত্মক আক্রমণ করে বসে। ফলে বাধ্য হয়ে প্রতিদিন বাড়ি সংলগ্ন দক্ষিন পার্শ্বে একটি গাছের সাথে রশি দিয়ে তাকে বেঁধে রাখা হচ্ছে।
চাঁদপুরের কচুয়ায় রাজনদের বাড়িতে গিয়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ৬ বছর বয়সী শিশু রাজনের জন্ম স্থান ফরিদপুর এলাকায়। জন্মের পর থেকে তার মায়ের সাথে নানার বাড়ি কচুয়া উপজেলার হোসেনপুর লাল মিয়া দোকানদার বাড়িতে বেড়ে ওঠছে সে।
দেখতে শুনতে অনেকটা ভাল মনে হলেও জন্মগত ভাবেই সে একটু ভিন্ন রকম।
অনেকটা তোতলিয়ে কথা বলে। তার কাছে গিয়ে কথা বললে মনে হয় সে যেন অকেনটা স্বাভাবিক। কিন্তু এ বয়সেই মানসিক সমস্যা থাকায় তার দরিদ্র পরিবার অর্থের অভাবে তাকে উন্নত চিকিৎসা দিতে পারছে না।
রাজনের মামা ইমাম হোসেন চাঁদপুর টাইমসকে জানান, ‘রাজনের পিতা হৃদয় মিয়া একজন রিক্সা চালক। রিক্সা চালিয়ে অর্থ উপার্জন করে তাকে চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এ অবস্থায় তার পরিবার প্রশাসনসহ সমাজের বিত্তবান লোকদের কাছে অবুঝ রাজনকে বাঁচাতে আর্থিক সহযোগিতা প্রয়োজন।
ইউপি চেয়ারম্যান মো. জসিম উদ্দিন লিটন চাঁদপুর টাইমসকে জানান, ‘শিশু রাজনকে আমি নিজে দেখে এসেছি। তবে উন্নত চিকিৎসা হলে সে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারবে বলে আমি মনে করি।’
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ৬:০০ পিএম, ২৭ নভেম্বর ২০১৬, রোববার
ডিএইচ