বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ ঐতিহাসিক উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, ‘বাঙালির ২৩ বছরের যে বঞ্চনা সেটিকে সামনে তুলে ধরে, আমরা আসলে কী চাই সেটি বঙ্গবন্ধু বলে দিয়েছিলেন এই ভাষণের মধ্য দিয়ে। বলে দেন সেই চাওয়াটা কীভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। সেখানে বাঙালিকে কী করতে হবে তা যেমন বলা আছে, তেমনি শাসকদের দিকেও নির্দেশনা আছে যে তাদের কী করতে হবে। এ রকম এক ভাষণ ইতিহাসে আর দ্বিতীয়টি নেই। কোনও একটি ভাষণের মধ্য দিয়ে একটি জাতি-রাষ্ট্রের জন্ম, এ রকম আর দেখা যায় না।’
শুক্রবার (২৫ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে মুক্তিযোদ্ধা ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী’ উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. দীপু মনি বলেন, ‘আজকে আমাদের নতুন প্রজন্ম বঙ্গবন্ধুকে চিনতে শিখছে। আমরা এগিয়েছি বহু দূর। এই মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বয়ে নিয়ে যেতে হবে। এটি বাঙালির হাজারো বছরের শ্রেষ্ঠ অর্জন। এই শ্রেষ্ঠ অর্জনকে যেন প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে ধরে রাখতে পারি, সেদিকে নজর দিতে হবে। সে জন্যই আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর মনের মধ্যে ঢুকিয়ে দেওয়া প্রয়োজন।’
‘আওয়ামী লীগ ইতিহাস বিকৃতি করেছে’—বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘ইতিহাস বিকৃতি এ দেশে ঘটেছে এটা সত্য এবং সেই বিকৃতি কারা করেছে, কীভাবে করেছে, কীভাবে এ দেশকে আবার পাকিস্তান বানানোর চেষ্টা হয়েছে, এখনও করা হচ্ছে—সেটা কিন্তু আমরা সবাই জানি।’
তিনি বলেন, ‘কোনও মানুষ যখন সিদ্ধান্ত নেবে, নিজের জন্য, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য; তখন তাদেরই বেছে নেবে, যারা এ দেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী, উন্নয়নের জন্য কাজ করছে। তাদের বেছে নেবে না, যারা ৭১-এ যুদ্ধাপরাধীদের দোসর। যারা ২০০১ থেকে ২০০৬-এ দেশকে মৃত্যুপুরীতে পরিণত করেছিল।’
অধ্যক্ষ মো. দেলওয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।