চাঁদপুর সদর উপজেলার রাজরাজেশ্বর ইউনিয়নে একটি পোল কিংবা ব্রিজের জন্য চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে ৭ গ্রামের প্রায় ১০ হাজার মানুষ। চরবাসী মানুষের সুবিধার্থে স্থানীয় হানিক বন্দুকশী নামে একজন সমাজসেবক বাঁশগারি খালের উপর প্রায় ৫০০ ফুট দীর্ঘ একটি বাশের সাঁকো তৈরি করে দেন। কিছুদিন পূর্বে বাশের সাঁকোটি ভেঙে যায়। এতে পুনরায় দুর্ভোগে পড়েন এলাকাবাসী। তাদের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে পুনরায় হানিফ বন্দুকশী বাঁশের সাঁকোটি সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছেন।
১৮ বুধবার সরজমিনে বন্দুকশী বাজারে গিয়ে দেখা যায়, বিশাল এই সাঁকোটির মাঝের অংশ নদীতে ভেঙে পড়েছে। ১০-১২ জন শ্রমিক বাঁশের সাঁকোটি মেরামতে কাজ করছেন। সাঁকো ভেঙ যাওয়ায়, পাশেই ডিঙি নৌকা দিয়ে খাল পাড়ি দিচ্ছে শিশু, নারী, বৃদ্ধাসহ অসংখ্য মানুষ।
কথা হয়, স্থানীয় হেদায়েত উল্লাহ বন্দুকশী, সায়েদ দেওয়ান, শফিক দেওয়ান, বোরহান দেওয়ান তৈয়ব আলী প্রধানিয়াসহ একাধিক ভুক্তভোগী গ্রামবাসী সাথে। তারা বলেন, চাঁদপুর সদর উপজেলার রাজরাজেশ্বর ইউনিয়নের ৬, ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের প্রায় ৭ টি গ্রামের মানুষ বাশগাড়ি খালের দুই পাড়ে বসবাস করেন। দুই পাড়ের মানুষের যোগাযোগের সুবিধার্থে স্থানীয় হানিফ বন্দুকশী একটি বাশের সাঁকো তৈরি করে দেন। এতে করে আমাদের দুর্ভোগ কিছুটা লাঘব হয়। কিছুদিন পূর্বে একটি বড় স্টিলের ট্রলারের ধাক্কায় সাঁকোটি ভেঙে যায়। হানিফ বন্দুকশী আবারো বাঁশের সাঁকোটি সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছেন।
এলাকাবাসী আরো বলেন, এভাবে একজন মানুষের পক্ষে বার বার এই সাঁকোটি সংস্কার বা তৈরি করা সম্ভব নয়। তাই আমাদের দাবি, খালের উপর স্থায়ীভাবে একটি কাঠের পোল কিংবা ব্রিজ নির্মাণ করা হোক। এ বিষয়ে আমরা চাঁদপুর জেলা প্রশাসন এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।
এ বিষয়ে হানিফ বন্দুকশী বলেন, আমাদের এই রাজরাজেশ্বর ইউনিয়নটি চাঁদপুর সদর উপজেলার অবস্থিত। অথচ এখানকার মানুষ এখনো সরকারি অনেক সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত। বাশগাড়ি খালের দুই পাড়ে প্রায় দশ হাজার মানুষের বসবাস। ডিঙ্গি নৌকা দিয়ে তাদের এই খাল পাড়ি দিতে হয়। এতে করে স্কুল কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী, শিশু এবং বয়স্ক মানুষের কষ্ট হতো। তাদের কথা চিন্তা করে ২০২৩ সালে প্রায় দেড় লক্ষ টাকা খরচ করে খালের উপর সাড়ে ৪০০ ফুট দীর্ঘ বাশের সাঁকোটি তৈরি করেছি। কিছুদিন আগে ট্রলারে ধাক্কায় সাঁকোটি ভেঙে গেছে।
হানিফ বন্দুকশী আর বলেন, বিষয়টি জানতে পেরে পুনরায় আমি সাঁকোটি সরকারের উদ্যোগ নিয়েছি। তবে আমি চাঁদপুরের মাননীয় জেলা প্রশাসক এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার প্রতি বিনয়ের সাথে অনুরোধ করবো, এখানে যেন একটি স্থায়ী পোল কিংবা ব্রিজ নির্মাণের উদ্যোগ দেয়া হয়। তাহলে এখানকার ৭টি গ্রামের প্রায় দশ হাজার মানুষ উপকৃত হবে।
প্রতিবেদক: আশিক বিন রহিম, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪