চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ ও শাহরাস্তিতে একই দিনে গৃহবধূ ও শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ৩ জুলাই শুক্রবার সাকালে উপজেলার রূপসা দক্ষিণ ইউনিয়নের চরমান্দারী গ্রামের নিজ ঘর থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
অন্যদিকে শুক্রবার বিকেলে শাহরাস্তিতে এক শিক্ষার্থীর পৌরসভার ১২নং ওয়ার্ডের নোয়াগাঁও মহল্লায় আব্দুর রহমান মুন্সি বাড়ি থেকে ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ
ফরিদগঞ্জে গৃহবধূ মরিয়ম:
স্থানীয়রা জানায়, ১১ মাস আগে ফুফাত ভাই ইসমাইল হোসেনের সঙ্গে চরপক্ষিয়া গ্রামের জামাল হোসেনের মেয়ে মরিয়মের বিবাহ হয়। ২ জুলাই বৃহস্পতিবার রাতে মরিয়ম গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।
এ বিষয়ে মরিয়মের স্বামী ইসমাইল জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে খাবার খেয়ে এক সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিলাম, কিছুক্ষন পর দেখি আমার স্ত্রী মরিয়ম আমার পাশে নেই। তাই তাকে বার বার ডাকার পর কোন শব্দ না পেয়ে উঠে দেখি পাশের রুমের আড়াঁর সঙ্গে মরিয়মের দেহ ঝুলে আছে। আমার সঙ্গে মরিয়মের কোন দরনের ঝামেলা ছিল না কি কারনে মরিয়ম আত্মহত্যা করেছে তা আমার জানা নেই।
এ বিষয়ে মরিয়মের ভাই মো.কামাল বলেন, আমার দুটি মাত্র বোন ছিল।বড় বোন ফারজানা সন্তান প্রসবকালে মারা যায়, আর ছোট বোন মরিয়ম কারো কাছে কিছু না বলে সে ও চলে গেল আমি এখন কার সঙ্গে আমার সুখ-দুঃখের কথা বলবো।
কি কারনে আত্মহত্যা করেছে জানতে ছাইলে কামাল বলেন, বোনের সংসারে কোন ধরনের ঝামেলা ছিলো না সব সময় বোন বলেছে সে খুব ভালো আছে। কি কারনে সে এই কাজ করলো তা আমাদের জানা নেই।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রকিব জানান, ওই গৃহবধূর লাশ ময়নাতদন্ত শেষে পারিবারিক কবর স্থানে দাপন করা হয়।
শাহরাস্তিতে শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ
একই দিনে অপর এক ঘটনায় শাহরাস্তিতে দশম শ্রেণীর ছাত্রী ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্র জানায়,ওই বাড়ির শরীফ উদ্দীন লিটনের মেয়ে ইশরাত জাহান রিয়া (১৫) স্থানীয় নোয়াগাঁও উবিতে দশম শ্রেণীতে অধ্যায়নরত ছিল। করোনা কালীন সময়ে লকডাউনে সময়ে তার বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় সে বাড়িতে অবস্থান করছিল।
ওইদিন বিকেলে রিয়ার মা জাহানারা বেগম মেয়েকে খাবার পানি আনতে বলে পাশের (তার বাবার বাড়ি) ঘুরতে যায়।
এদিকে রিয়ার ছোট ভাই সৌরভ (১০) হাঁস মোরগ খুঁজতে গিয়ে বোনকে ঝুলতে দেখেন । পরে তার আত্মচিৎকারে স্থানীয়দের চিৎকার শুনে তার মা জাহানারা বাড়িতে ছুটে আসেন। এসেই দেখেন তার মেয়ে রিয়া রান্নাঘরের আঁড়ার সাথে ঝুলে আছে।
পরে স্থানীয়রা ওই ঘরে দরজা বন্ধ দেখে বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করে। নিহত রিয়া ২ ভাই ২ বোনের মধ্যে সে তৃতীয় ছিল।
এছাড়া মেয়ে আত্মহননের বিষয়ে তার মা জানান, রিয়ার চলে যাওয়ার মত কোন রাগ অভিমান কিংবা বিবাদ আমাদের ঘরের সৃষ্টি হয়নি।
ওসি (তদন্ত) আবদুল মান্নান বলেন, এ বিষয়ে একটি অপমৃত্যু মামলা রুজু করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ চাঁদপুর হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হবে।
স্টাফ করেসপন্ডেট,৪ জুলাই ২০২০