প্রকৃতির স্বাভাবিক নিয়মে একজন গর্ভবতী গৃহবধূ একজন সন্তান প্রসব করে থাকেন। তবে মাঝে মাঝে কোনো কোনো মা জমজ সন্তানও প্রসব করেন। জমজ সন্তান হলেই তা নিয়ে মানুষের মাঝে ব্যাপক আগ্রহ দেখা যায়। আর যদি শোনা যায় রাজধানীতে একজন গর্ভবতী চারজন ও অপর একজন তিন সন্তান প্রসব করেছেন তাহলে এ ঘটনাকে অনেকেই আষাঢ়ে গল্প মনে করতে পারেন। কিন্তু গতকাল (সোমবার) বাস্তবেই রাজধানীর ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একদিনে দুই নারী সাত নবজাতকের জন্ম দিয়েছেন।
সোমবার দিবাগত রাত আনুমানিক ১২টার দিকে গাইনি বিভাগের অধ্যাপক ডা. কানিজ ফাতেমার অধীনে অস্ত্রপচারের মাধ্যমে সনিয়া আক্তার চারজন ও সোমবার বিকেলে অধ্যাপক ডা. রুমানা শেখের অধীনে সুইটি খাতুন নামে এক নারী স্বাভাবিকভাবে তিন নবজাতকের জন্ম দিয়েছেন। বর্তমানে দুই প্রসূতি মা পোস্ট অপারেটিভ বেডে আছেন। হাসপাতালের জনসংযোগ কর্মকর্তা সুব্রত মন্ডল এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
হাসপাতালের গাইনি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, সনিয়া আক্তারের ৪জন নবজাতকের মধ্যে ৩জন ছেলে ও একজন কন্যাশিশু। সুইটি খাতুনের ৩ নব জাতকের মধ্যে দুই জন কন্যা ও একজন ছেলে।
সনিয়া খাতুনের গর্ভে জন্ম নেয়া চার নবজাতকের মধ্যে প্রথম জনের ওজন ১ কেজি ৯০০ গ্রাম, দ্বিতীয় জনের ওজন ১ কেজি ৬০০ গ্রাম, তৃতীয় জনের ১ কেজি ৫৬০ গ্রাম ও চতুর্থ জনের ২ কেজি ১০০ গ্রাম।
তবে রক্তশূণ্যতার কারণে প্রথম নবজাতককে রক্ত দেয়া হয়েছে। তারা চার জনই সহকারী অধ্যাপক ডা. রোজিনা আক্তারের অধীনে নিবিড় যত্ম ইউনিটে (এনাআইসিইউ) চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
অপরদিকে সুইটি খাতুনের গর্ভে জন্ম নেয়া তিন নবজাতকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদেরকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে। ওই তিন নবজাতকের মধ্যে প্রথম জনের ওজন ৯০০ গ্রাম, দ্বিতীয় জনের ওজন ৯০০ গ্রাম ও তৃতীয় জনের ওজন ৭০০ গ্রাম।
এদিকে ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একসঙ্গে চার নবজাতকের জন্ম নেয়ার খবর শুনে রাত ১২ টার দিকে সেখানে ছুটে আসেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী (সিইও) ও স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) মহাসচিব প্রিন্সিপাল ডা. এমএ আজিজ।