একই ডালে পরকীয়া প্রেমিকযুগলের ঝুলন্ত মরদেহ : হত্যা না আত্মহত্যা?

রাজশাহীর দুর্গাপুরে আমগাছের ডাল থেকে প্রেমিকযুগলের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২৫ মার্চ) দুপুরে অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমানোর পর শনিবার (২৬ মার্চ) সকালে ওই প্রেমিকযুগলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

তারা হলেন- দুর্গাপুর উপজেলার আমগ্রামের আব্দুল মজিদের ছেলে খোকন ইসলাম (২৩) ও আবু সাইদ বুদনের স্ত্রী তিনা খাতুন (২৭)। তবে তাদের দুজনকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে খোকনের পরিবার।

দুর্গাপুর থানা পুলিশ তাদের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।

এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে জানিয়ে দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পরিমল কুমার চক্রবর্তী বলেন, এক সন্তানের জননী ছিলেন তিনা। তার সঙ্গে খোকনের পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। খোকন রাজশাহী মহানগরীর একটি ইলেক্ট্রনিক্সের দোকানে কাজ করতো।

এই সম্পর্কের বিষয়টি জেনে যায় তিনার স্বামী আবু সাঈদ। এরই মধ্যে তিনাকে নিয়ে খোকন শুক্রবার দুপুরে অজানার উদ্দেশে পাড়ি দেয়। তবে তাদের খুঁজতে বের হোন তিনার স্বামী আব্দু সাইদ বুদনসহ তার লোকজন।

তারা দিনভর খুঁজেও তিনা ও খোকনের কোনো খোঁজ পাননি বলে রাতে গিয়ে গ্রামের লোকজনকে জানান।

পরে শনিবার খোকন ও তিনার বাড়ির পাশে একটি আম গাছের সঙ্গে দুজনের ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান এলাকাবাসী। এ সময় পুলিশকে খবর দেওয়া হলে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।

ওসি আরও জানান, তিনা ও খোকনের দুজনের কোমর একই ওড়না দিয়ে বাঁধা ছিল। তাদের মরদেহও একই ওড়না দিয়ে ঝুলানো ছিল।

দুজনের কোমর এক সঙ্গে বাঁধার কারণেই বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে বলে জানান ওসি।

এদিকে, খোকনের বাবা আব্দুল মজিদসহ পরিবারে সদস্যদের দাবি, তাদের দুজনকে তিনার স্বামীর পরিবারের লোকজন পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। দুজনের প্রেমের সম্পর্ক মেনে নিতে না পেরেই তাদের হত্যা করা হয়েছে বলেও দাবি করেন খোকনের পরিবারের লোকজন।

ওসি পরিমল চক্রবর্তী বলেন, অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। হত্যা না আত্মহত্যা ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে পেলেই স্পষ্টভাবে জানা যাবে।

||আপডেট: ০১:৪৩  অপরাহ্ন, ২৬ মার্চ ২০১৬, শনিবার

চাঁদপুর টাইমস /এমআরআর

Share