‘এই ম্যাচটা অবশ্য জেতা উচিত ছিলো আমাদের। ৫২ বলে ৩৯ লাগবে, ৬ উইকেট হাতে। ওখান থেকে এমন হার অবশ্যই হতাশার। এভাবে উইকেট পড়লে ফলাফল আমাদের পক্ষে আসবে না এটাই স্বাভাবিক। আরও একটু ভিন্নভাবে চেষ্টা করা যেতো।’
শুক্রবার (৭ অক্টোবর) রাতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে ২১ রানের হারের পর সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা।
শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে দিবা-রাত্রির ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৩১০ রান তাড়া করতে নেমে শেষ ১৭ রানে ৬ উইকেট হারালে ইনিংসের ১৩ বল থাকতে ২৮৮ রানে অলআউট বাংলাদেশ, সিরিজে লিড (১-০) ইংলিশদের।
১৫৩ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর ইমরুল-সাকিব জুটির ব্যাটিং দেখে মনে হচ্ছিলো ইংলিশ-বধ যেন সময়ের ব্যাপার মাত্র। দলীয় ২৭১ রানে ১১৮ রানের জুটিটি ভাঙার পরই বালুর বাধের মতো ভেঙে পড়ে বাংলাদেশের ইনিংসটা। ৪৭.৫ ওভারে অলআউট হয় স্বাগতিকরা।
অথচ ম্যাচে শেষ পর্যন্ত ব্যাটসম্যানদের লড়াই দেখতে চেয়েছিলেন মাশরাফি, ‘যেহেতু উইকেট পড়ে যাচ্ছিলো আরেকটু উইকেটে থেকে শেষ ২ ওভারে যদি ১৫-১৬ লাগে চার্জ করতে পারতাম। কারও দোষ দিয়ে লাভ নাই। এর আগেও এমন হয়েছে। এখান থেকে ঘুরে দাঁড়াতে না পারলে কঠিন হয়ে যায়।’
শেষ দিকে আরেকটু ধৈর্যশীল থেকে ব্যাটিং করা উচিত ছিল বলে মনে করেন মাশরাফি, ‘এটা যে কারো জায়গা থেকেই হতাশার। এটা কারো একার ব্যাপার না। পুরো দলই এখন আপসেট। একটা পর্যায়ে যখন ৭-৮ করে লাগতো তখন আমরা এভাবে ব্যাটিং করতে পারতাম। কিন্তু যখন আমাদের ৫ করে লাগবে। তখন আমাদের আরো ধৈর্যশীল ব্যাটিং করা লাগতো।’
ইংলিশদের জয়ে কৃতিত্ব জ্যাক বল ও আদিল রশিদের। বল পাঁচটি ও রশিদ নিয়েছেন চারটি উইকেট। এ দুই বোলারই পার্থক্য গড়ে দিয়েছেন ম্যাচে। ইংলিশদের দারুণ ফিল্ডিংও রেখেছে ম্যাচ জয়ে ভূমিকা। বাংলাদেশের হারে অনেকটাই ঢাকা পড়ে গেছে ইমরুল কায়েসের ১১২ ও সাকিব আল হাসানের ৭৯ রানের দুর্দান্ত ইনিংস দু’টি।
নিউজ ডেস্ক : আপডেট, বাংলাদেশ সময় ১২:০৭ এএম, ০৮ অক্টোবর ২০১৬, শনিবার
ডিএইচ