এবার সামনে এলো পরীমনির কাবিন নামা। তবে পরীমনি এগুলোকে মিথ্যে দাবি করে বলেন, এসবের সত্যতা প্রমাণ করেই ছাড়ব। পরীমনি বলেন ছবিগুলো ভুয়া। একইসাথে বলেন, এইসব কাবিননামা ১০০ টাকা দিলে ১৯৯ টা বানানো যায়। রবিবার পরীমনির বেশকিছু অন্তরঙ্গ ছবি ভাইরাল হয়। কিন্তু পরীমনি সেই ছবি সম্পর্কে বলেন আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে এই ছবিগুলো ছড়ানো হচ্ছে। তিনি দাবি করেন আমি আমার পরিচিত সবার সাথে ঘনিষ্ঠভাবে ছবি তুলি। এটাকে আমার দুর্বলতা ভেবে একটা চক্র সুযোগ নিচ্ছে।
তবে পরীমনি’র এসব ছবির রেশ কাটতে না কাটতে সোমবার শাকিল রিয়াজ নামের আরেকজন পরীমনির বেশকিছু ছবি প্রকাশ করেছেন। সাথে তিনি লিখেছেন, ‘একটু আগে পরীমনি ভাবীকে নিয়ে একটা পোস্ট দেখলাম, যেখানে ভাবীকে নিয়ে বিভিন্ন বিভ্রান্তিকর স্ক্যান্ডাল ছড়ানো হয়েছে। আসল সত্য হয়তো অনেকেই জানেন না। পরীমনির আসল নাম সামসুর নাহার স্মৃতি। ভাবী আমাদের খুব কাছের বড় ভাইয়ের বৌ। ভাইয়ের নাম সৌরভ কবীর। ভাবীকে নিয়ে এ সব বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর কারণে আমি আর মুখবুজে থাকতে পারলাম না। আমার মনে হলো এখনই সময়, আসল সত্যটা সবার সামনে তুলে ধরার। ভাই ও ভাবীর বিয়ে হয় ২৮ এপ্রিল ২০১২ সালে। ৩ বছর প্রেম করার পরে তারা নিজেদের ইচ্ছায় বিয়ে করেন এবং পরে সেটা দুই পরিবার থেকেই মেনে নেয়। ভাইয়ের বাসা যশোরের কেশবপুরে। ভাই এবং ভাবী নিজেদের পেশার জগৎ আলাদা। ভাই পেশায় একজন প্রফেশনাল ফুটবলার। ভাই এবং ভাইয়ের পরিবারের সম্মতিতেই ভাবী মিডিয়া জগতে প্রবেশ করেন। ভাই এবং ভাবীর নিজেদের ক্যারিয়ারের কথা চিন্তা করে তাদের এ সম্পর্কের কথা আড়াল করে রেখেছেন। তারা এখনও একসঙ্গে বিবাহিত জীবনযাপন করছেন। কিন্তু আজকের এ ঘটনার পরে আমি আর মুখ বুজে থাকতে পারলাম না। আসল সত্য সবার সামনে তুলে ধরলাম। ভাই ও ভাবী আপনারা কিছু মনে করলেও আমি বাধ্য হয়ে এই পোস্টটি করলাম। আমার এই পোস্ট নিয়ে যদি কারও কোনও সন্দেহ থেকে থাকে, তাহলে আমরা প্রমাণ দেওয়ার জন্য প্রস্তুত।’
সৌরভ নামের কাউকে চেনেন কি না, কিংবা আপনি কি সৌরভের স্ত্রী এমন প্রশ্নের জবাবে পরী উচ্চস্বরে হেসে বলেন, এই ধরনের সংবাদ যে কোত্থেকে আসে। এগুলোর উত্তরই দিতে ইচ্ছে করে না।
পরীমনির সোমবার প্রকাশিত ছবি সম্পর্কে ভাষ্য ‘আমার কাছে পুরো ব্যাপারটি হাস্যকর মনে হচ্ছে। আমি প্রমাণ করে দেবো বিষয়টি পুরোপুরি মিথ্যা এবং আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। এই ষড়যন্ত্রের জবাব আমি সময়মতো দেবো। ছবিগুলো সম্পূর্ণ ফেইক।
একইসাথে আজ পাওয়া গেছে একটি নিকাহনামা। যেটি অনলাইনে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এই নিকাহনামার ব্যাপারে পরীমনির ভাষ্য এগুলো সব সাজানো বানোয়াট। ইচ্ছেকরলেই শতশত ভুয়া কাবিননামা বানানো যায়।
নিউজ ডেস্ক || আপডেট: ০২:১০ পিএম, ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, বুধবার
এমআরআর