‘শিক্ষার কোন বয়স নাই, চল সবাই পড়তে যাই’- পুরনো এই প্রবাদটি প্রমাণ করে দেখালেন খাগড়াছড়ি জেলার বাবা-ছেলে-মেয়ে-নাতি!
চলতি বছরের এইচএসসি ফলাফলে ৫০ বছর বয়সে উচ্চ মাধ্যমিক (আলিম) পাস করেছে মো. সিরাজুল ইসলাম। শুধু তাই নয় তার ছোট মেয়ে, একমাত্র ছেলে এবং বড় মেয়ের ঘরের নাতিও পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের শুভেচ্ছায় সিক্ত করছেন স্থানীয়রা।
জানা যায়, সিরাজুল ইসলামের ছয় মেয়ে এক ছেলে। এবার পরীক্ষায় ছোট মেয়ে মাহমুদা সিরাজ খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজ থেকে মানবিক বিভাগ থেকে জিপিএ ৪.১৭ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন। একমাত্র ছেলে হাফেজ নেসার উদ্দিন আহম্মেদ চট্টগ্রাম বাইতুশ শরফ কামিল মাদ্রাসা থেকে জিপিএ ৪.০০ পেয়েছেন। সিরাজুল ইসলামের বড় মেয়ের ঘরের নাতি নাজমুল হাসান খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজ থেকে মানবিক বিভাগে জিপিএ ৪.৬৭ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন৷
তবে বড় চমকটুকু সিরাজুল ইসলাম নিজেই। তিনি খাগড়াছড়ি ইসলামিয়া সিনিয়র আলিম মাদ্রাসা থেকে জিপিএ ২.১৪ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন।
এ বয়সে পরীক্ষা দেওয়ার বিষয়ে সিরাজুল বলেন, দোলনা থেকে কবর পর্যন্ত শিক্ষার কিন্তু শেষ নেই। আমার আগ্রহ ছিল বটেই, আমাকে দেখে অন্যরাও উৎসাহ পাবে এ ভাবনা থেকে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছি।
সিরাজুল ইসলাম ১৯৯২ থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত মাটিরাঙ্গার তাইন্দং ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য ছিলেন। পরবর্তীতে ২০০৩ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।