চাঁদপুর পুরানবাজার ডিগ্রী কলেজের মেধাবী শিক্ষার্থী পলাশ একজন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধি। ক্ষয়িষ্ণু চোখের দৃষ্টিতে এখন আর কোন কিছুই স্পষ্ট দেখতে পায় না। ফলে এবছর সে এইচএসসি পরীক্ষা দিয়েছে ১০ শ্রেণী পড়ুয়া একজন শ্রুতি লেখকের সহযোগীতা নিয়ে।
গত ১৩ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত এইচএসসি পরীক্ষায় ফলাফলে হাতে পেয়ে কেঁদেছে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধি অদম্য পলাশ। হয়তো কেঁদেছে তার হতদরিদ্র পরিবারও। কারণ এইসএসসি পরীক্ষায় পাশ করলেও ক্ষয়িষ্ণু দৃষ্টির কারনে পলাশ নিজের সেই কাঙ্খিত ফলাফল স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছে না।
বাদাম বিক্রেতা পিতার দৃষ্টি প্রতিবন্ধি হতভাগা ছেলাটা হয়তো জিপিএ-৫ পায়নি। তবে ভালো ফলাফলের ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছে। তবে এখন আর জিপিএ ফাইভ বা ভালো চাকরি নয়, তার এখন বেশি প্রয়োজন চোখের ভালো চিকিৎসার। কারন টাকার অভাবে চোখের চিকিৎসা করতে না পারলে পলাশকে সারাজীবনের জন্যে অন্ধত্বকে বরণ করে নিতে হবে।
এবছর পা দিয়ে লিখে জিপিএ-৫ পাওয়া একজন ছাত্রীকে ফোন করেছিলেন আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী। এমন বিরল চিন্তা এবং অনুপ্রেরণার জন্য তারা দু’জনই প্রশংসায় ভাসছেন। আমি বিশ্বাস করি চাঁদপুরের দৃষ্টিপ্রতিবন্ধি পলাশের এইচএসসি পাশের সংবাদটি জানতে পারলে পলাশ তাঁদের দু’জনের ফোনকল পেত।
আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং শিক্ষামন্ত্রীর প্রতি বিনীত অনুরোধ রইলো, দয়া করে আপনারা দৃষ্টিপ্রতিবন্ধি হতভাগা পলাশের দিকে একটু নজর দিন। আপনাদের সামান্য দৃষ্টি বা সহযোগীতায় পলাশ হয়তো তার চোখের দৃষ্টি ফিরে পেতে পারে। পাশাপাশি সমাজের বিত্তবানদের প্রতি একই অনুরোধ রইলো।
উল্লেখ : মেঘনার ভাঙনে বসতভিটে হারানো পলাশ চাঁদপুর শহরের নতুন বাজার ঘোষপাড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন। পিতা শ্যামল দে পেশায় একজন বাদাম বিক্রেতা। জন্ম থেকে বামচোখে সমস্যা থাকা পলাশ নিজে নিজেই পরিক্ষায় খাতায় লিখে পিএসসি/জেএসসি ও এসএসসি পাশ করেছেন। করোনায় কামাই রোজগার কমে যাওয়ায় চিকিৎসার অভিবে পলাশের বাম চোখের সাথে সাথে ডান চোখে দৃষ্টিও ক্ষয়িষ্ণু হতে চলেছে।
ঢাকা, কুমিল্লা এবং চট্টগ্রামের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তার চোখের দৃষ্টি ফিরে পেতে উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন।
পলাশকে সহায়তা পাঠাতে পারেন (তার নিজের) ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এবং বিকাশ ও নগদ নাম্বারে। ডাচবাংলা ব্যাংক 24215111574 || নগদ ও বিকাশ নাম্বার (পার্সনাল) 01638510050।
প্রতিবেদক: আশিক বিন রহিম, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২