জাতীয়

এইচএসসি উত্তীর্ণরা এ বছরই নম্বর জানার সুযোগ পাচ্ছে না

এসএসসি পরীক্ষায় মোট নম্বরভিত্তিক সনাতন পদ্ধতি বাতিল করে ২০০১ সাল থেকে জিপিএ পদ্ধতিতে ফল প্রকাশ শুর“ হয়। এইচএসসিতে জিপিএ পদ্ধতিতে ফল দেওয়া শুর“ হয় ২০০৩ সাল থেকে।

আগের পদ্ধতিতে পরীক্ষার্থীদের সব বিষয়ের নম্বর যোগ করে মোট নম্বরের ভিত্তিতে প্রথম বিভাগ, দ্বিতীয় বিভাগ ও তৃতীয় বিভাগ নির্ধারিত হত। সব বোর্ডের সেরা ২০ শিক্ষার্থীর তালিকাও সরকার প্রকাশ করত।

এছাড়া কোনো শিক্ষার্থী গড়ে ৭৫ শতাংশ নম্বর পেলে সেটিকে ‘স্টার মার্কস’ হিসেবে ধরা হত। জিপিএ পদ্ধতিতে ফল প্রবর্তনের পর এসব ওঠে যায়।

জিপিএ পদ্ধতিতে ৩৩ থেকে ৮০ পর্যন্ত নম্বরকে ভাগ করা হয় সাতটি গ্রেডে। একজন শিক্ষার্থী কত শতাংশ নম্বর পেল তা ৫ ভিত্তিক স্কেলে রূপান্তর করে ওই বিষয়ে তার জিপিএ হিসাব করা হয়। আর সব বিষয়ের জিপিএ থেকে গড় করে হিসাব করা হয় সিজিপিএ। সেটাই তার চূড়ান্ত ফল।

এতদিন ট্রান্সক্রিপ্টে বিষয়ের বিপরীতে কেবল গ্রেড পয়েন্ট উল্লেখ করা হত। বিষয়ভিত্তিক বা মোট নম্বর জানার সুযোগ ছিল না মাধ্যমিক ও উ”চ মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের।

আদালতে একজন শিক্ষার্থীর একটি রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দীর্ঘ ১৩ বছর পর উচ্চ মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীরা এবার জিপিএর সঙ্গে সব বিষয়ের নম্বর জানার সুযোগ পাচ্ছেন।

চলতি বছর যারা এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাস করেছেন তারা নম্বর জানার এ সুযোগ পাবে না জানিয়ে অধ্যাপক মাহবুবুর বলেন, “এরপর থেকে এসএসসি ও এইচএসসির সব পরীক্ষার নম্বর জানানো হবে।”

নিউজ ডেস্ক : আপডেট, বাংলাদেশ সময় ১:৩০ পিএম, ১৯ আগস্ট ২০১৬, শুক্রবার
এজি/ডিএইচ

Share