সারাদেশের ন্যায় চাঁদপুরেও একযোগে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এইচএসসি, মাদ্রাসা বোর্ডের আলিম ও ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা ও ভোকেশনাল পরীক্ষা। সারাদেশের ন্যায় এক-অভিন্ন সময় ও নিয়ম নীতিতে সকাল ১০ টায় ওই পরীক্ষা শুরু হবে।
এবছর চাঁদপুর জেলার ৮ উপজেলায় পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১৯ হাজার ৯শ ৯৯ জন এবং কেন্দ্র ৫১টি।
২০১৮ সালের এইচএসসি,আলিম ,বিএম ও এইচ এস সি ভোকেশনা পরীক্ষা সোমবার (২ এপ্রিল) সকাল ১০ টায় শুরু হচ্ছে। যা ১৩ মে (রোববার) শেষ হয়ে ব্যবহারকি পরীক্ষা ১৪ মে থকেে শুরু হয়ে ২৩ মে শষে হবে।
চাঁদপুর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে গত ২০ মার্চ জেলা প্রশাসক মো.মাজেদুর রহমান খানের সভাপতিত্বে সকল উপজেলা প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কলেজ ও মাদ্রাসার কেন্দ্রে সচিব ও সহকারী সচিবদের সমন্বয়ে এইচএসসি,আলিম,বিএম ও এইচ এস সি ভোকেশনা পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
চাঁদপুর জেলা প্রশাসনের শিক্ষা শাখার সূত্রমতে, জেলায় এইচএসসি পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১৫ হাজার ২শ ৭৩ জন এবং কেন্দ্র ৩৩টি,মাদ্রাসা বোডের্র আলিম পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২ হাজার ৮শ’ ২৬ এবং কেন্দ্র ১১ টি, ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা (বিএম ) পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১ হাজার ৮শ’ ৪২জন ও কেন্দ্র ৬টি এবং ভোকেশনাল পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৫৮ জন ও কেন্দ্র ১টি।
এরইমধ্যে পরীক্ষা সুষ্ঠ ও সুন্দরভাবে পরিচালনার জন্যে জেলা প্রশাসন কর্তৃক অনেকগুলো প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
প্রাপ্ত সূত্র মতে, এইচএসসি পরীক্ষায় চাঁদপুর সদরের ৫টি কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৩ হাজার ৭ শ’ ৩ ৫জন,হাজীগঞ্জের ৭টি কেন্দ্রে ৩ হাজার ৩শ ১৮ জন, শাহরাস্তির ৪টি কেন্দ্রে ১ হাজার ২ শ ৩৪ জন,মতলব দক্ষিণ এর ৩টি কেন্দ্রে ১ হাজার ১শ’ ২২জন,মতলব উত্তরে ৪টি কেন্দ্রে ১ হাজার ৪শ ৪৫ জন,ফরিদগঞ্জের ৪টি কেন্দ্রে ১ হাজার ৮শ ৯৯জন,কচুয়ার ৫টি কেন্দ্রে ১ হাজার ৯শ ৮৪ জন এবং হাইমচরের ১ টি কেন্দ্রে ৫শ ৩৬জন পরীক্ষার্থী রয়েছে।
সারাদেশে চলতি বছর ৮ হাজার ৯ শ’ ৪৩ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১৩ লাখ ১১ হাজার ৪শ’৫৭ জন পরীক্ষার্থী এ পরীক্ষায় অংশ নেবে। এরমধ্যে ৬ লাখ ৯২ হাজার ৭ শ’৩০ জন ছেলে এবং ৬ লাখ ১৮ হাজার ৭শ’২৭ জন মেয়ে।
২০১৭ সালে পরীক্ষার্থী সংখ্যা ছিল ১১ লাখ ৮৩ হাজার ৬ শ’৮৬ জন। ২০১৭ সালের তুলনায় ২০১৮ সালে পরীক্ষার্থী বেড়েছে ১ লাখ ২৭ হাজার ৭ শ’৭১ জন। বৃদ্ধির হার ১০.৭৯%। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বেড়েছে ৭৯টি এবং কেন্দ্রও বেড়েছে ৪৪টি।
এদিকে নকলমুক্ত ও শান্তিপ্রিয় পরিবেশে পরীক্ষা অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে জেলা প্রশাসন থেকে সকল প্রকার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। পরীক্ষার হলে সকল ধরনের অসাধু উপায় বর্জনের জন্যে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কড়া হুঁশিয়ারি রয়েছে।
এছাড়াও শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি যদি কোনো শিক্ষক অসাধু উপায় অবলম্বন করে এবং তা প্রমাণিত হয় তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানা যায় । শিক্ষামন্ত্রণালয় সূত্র জানা যায় , শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে সার্বক্ষণিকভাবে সারাদেশের এইচএসসি ও সমমানের সকল পরীক্ষা তদারকি করা হবে।
পরীক্ষা শুরুর ৩০ (ত্রিশ) মিনিট পূর্বে পরীক্ষার্থীদেরকে অবশ্যই পরীক্ষা কক্ষে আসন গ্রহণ করতে হবে। পরীক্ষা শুরুর ২৫ (পঁচিশ) মিনিট পূর্বে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার মোবাইল ফোন নম্বরে সেট কোড ব্যবহারের নির্দেশনার এসএমএস যাওয়ার পর প্রশ্নপত্রের প্যাকেট খুলবেন।
কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ব্যতীত অন্য কেউ মোবাইলফোন বা ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবে না। কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছবি তোলা যায় না এমন মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন।
আসন্ন উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষা কেন্দ্রের ২শ’ গজের ভেতর পরীক্ষার্থী ছাড়া জনসাধারণের প্রবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
শনিবার (৩০ মার্চ ) সংশ্লিষ্ঠ পুলিশ বিভাগ অর্ডিন্যান্সের-এর ২৮ ও ২৯ ধারায় অর্পিত ক্ষমতা বলে এ আদেশ দেয়। সোমবার ২ এপ্রিল থেকে দেশব্যাপি একযোগে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ আদেশ আগামী ২ এপ্রিল থেকে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার দিনগুলোতে পরীক্ষা চলাকালীন সময় পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।
প্রতিবেদক : আবদুল গনি