সৌদি আরবের আসির প্রদেশে যাত্রীবাহী বাস দুর্ঘটনায় নিহত ওমরাহ যাত্রী সবুজ হোসাইনের গ্রামের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। আজ বুধবার সকালে জেলার রায়পুর উপজেলার চর মোহনা গ্রামে নিহতের বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে শোকে কাতর পরিবার ও তার স্বজনরা। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে তারা এখন দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। দ্রুত তার লাশ দেশে ফিরিয়ে আনার দাবী জানান স্বজন ও এলাকাবাসী।
নিহতের চাচা বাচ্চু জানায়, প্রায় ৩ বছর আগে সংসারের স্বচ্ছলতা ফেরাতে ঋণ করে হোটেল শ্রমিক হিসেবে সৌদিআরব গিয়েছিলেন সবুজ হোসাইন। প্রায় ৪ লাখ টাকা খরচ করে তাকে বিদেশে পাঠানো হলেও এখনো ৩ লাখ টাকা ঋণগ্রস্থ রয়েছে পরিবার। চার ভাই বোনের মধ্যে একমাত্র উপার্জনক্ষম ছিল সবুজ। সর্বশেষ দুর্ঘটনার দিন বিকেলে পরিবারের সঙ্গে কথা হয় তার। মা-বাবার কাছে ওমরাহ যাচ্ছেন জানিয়ে দোয়া চান সুবজ। এরপর রাতে মৃত্যুর খবর শুনতে পান স্বজনরা।
নিহতের বাবা মো. হারুন বলেন, ‘৩ বছর আগে হোটেল শ্রমিক ভিসায় সৌদি আরব যায় সবুজ। যাওয়ার পরে কিছু টাকা পাঠালে ঋণের ১ লাখ টাকা পরিশোধ করি। এখনো প্রায় ৩ লক্ষ টাকা মানুষের দেনা রয়েছি। গত বছর সবুজ ওমরাহ পালন করেছে। এবারও ওমরাহ পালনের জন্য বিকেলে বের হয়েই ফোন দিয়েছে। ফোনে দোয়া করতে বলে আগামী বছর দেশে ফিরবে বলে জানিয়েছে সবুজ। কিন্তু এরই মাঝে ছেলের মৃত্যুর খবরে আমরা দিশেহারা হয়ে গেছি।’
গত সোমবার ওমরাহ যাত্রী বহনকারী একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। আসির প্রদেশ ও আভা শহরের সঙ্গে সংযোগ সড়কে এ দুর্ঘটনায় ১৮ জন বাংলাদেশি ওমরাহ যাত্রী নিহত হন।
টাইমস ডেস্ক/ ২৯ মার্চ ২০২৩