কঠোর নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে দেশের অন্যান্য জেলার ন্যায় চাঁদপুরও জেলা পরিষদ নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। ১৭ অক্টোবর সোমবার সকাল ৯টা থেকে এ ইভিএমে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে দুপুর ২টা পর্যন্ত চলে। সামগ্রিক দিক বিচেচনায় এবারের চাঁদপুর জেলা পরিষদ নির্বাচন ছিলো শান্তিপূর্ণ। তবে ভোট পরবর্তী পরিস্থিতি কি হয় সেটি নিয়েই আপাত চিন্তা।
জানা গেছে, চাঁদপুরে ২ চেয়ারম্যান, সাধারণ সদস্য ৩৬ জন ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য ১২ জনসহ মোট ৫০জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ৮ উপজেলা, ৮৯টি ইউনিয়ন ও ৬টি পৌরসভার মোট ১২৬৯ জন জনপ্রতিনিধি নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।
এরমধ্যে চাঁদপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে চাঁদপুর জেলা পরিষদ সাবেক চেয়ারম্যান ও প্রশাসক আলহাজ ওচমান গনি পাটওয়ারী (মোবাইল) প্রতীক ও প্রবাসী জাকির হোসেন প্রধানিয়া (আনারস) প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আর সাধারণ সদস্য ৩৬ জন ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য ১২ জনসহ ৪৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এ বিষয়ে চাঁদপুর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ তোফায়েল হোসেন জানান, একটি স্বচ্ছ নির্বাচন উপহার দিতে নির্বাচন কমিশন বদ্ধপরিকর। নির্বাচনে কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে প্রমাণ সাপেক্ষে সঙ্গে সঙ্গে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি আরও জানান, প্রতিটি কেন্দ্রে পর্যাপ্ত পুলিশ, বিজিপি ও আনসার সদস্য মোতায়েন রয়েছে। পাশাপাশি জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রয়েছেন। প্রতিটি উপজেলায় ২টি করে ৮টি উপজেলা পরিষদে ১৬টি কক্ষে ৩টি করে সিসি ক্যামেরা রয়েছে।
এদিক সকাল ১১টায় চাঁদপুর সদর উপজেলা কেন্দ্র পরিদর্শনে আসেন জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান ও পুলিশ সুপার মো. মিলন মাহমুদ। তারা ভোটকেন্দ্রের সামগ্রিক পরিবেশ নিয়ে সন্তুষ্ট প্রকাশ করেন।
অপর দিকে ভোট কেন্দ্রগুলোর ভেতরের পরিবেশ নিরোত্তাপ থাকলেও বাইরের পরিবেশ ছিলো বেশ উৎসব মুখর। কেন্দ্রগুলোর বাইরে প্রার্থীদের সমর্থকরা ভোটারদের দৃষ্টি আকর্ষনে নানারকম শ্লোগান দিতে দেখা যায়। তবে উভয়ের মাধ্যে সৌহার্দ্য ছিলো লক্ষনীয়।
প্রতিবেদক: আশিক বিন রহিম,১৭ অক্টোবর ২০২২