চাঁদপুর দেশের অন্যতম নদীবিধৌত কৃষি প্রধান অঞ্চল। মেঘনা,পদ্মা,মেঘনা ধনাগোদা ও ডাকাতিয়া নদী এ জেলা ওপর দিয়ে বয়ে যাওযায় কৃষি উৎপাদনে নদী অববাহিকায় ব্যাপক ফসল উৎপাদন হয়ে থাকে।
নদীর তীর সংলগ্ন এলাকাগুলোতে ব্যাপকহারে এ সরিষা চাষাবাদ ও উৎপন্ন হয়ে থাকে। মেঘনার পশ্চিমতীরে রয়েছে ১১টি বিচ্ছিন্ন চরাঞ্চল। চাঁদপুরে ধান, পাট, আলু, সয়াবিন, পেঁয়াজ রসুন,ভূট্টা এর পরেই সরিষার স্থান।
চলতি ২০২১-‘২২ বছরে চাঁদপুরে ৪ হাজার ৫ শ’মে.টন সরিষা উৎপাদন লক্ষ্যমাত্র্য নির্ধারণ করা হয়েছে এবং চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ৩ হাজার ৩শ ৫০ হেক্টর জমিতে।
আবহাওয়ার অনুকূল পরিবেশ,পরিবহনে সুবিধা,কৃষকদের সরিষা চাষে আগ্রহ,কৃষি বিভাগের উৎপাদনের প্রযুক্তি প্রদান,
যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নত,কৃষিউপকরণ পেতে সহজলভ্যতা,বীজ,সার ও কীটনাশক ব্যবহারে কৃষিবিদদের পরামর্শ,ব্যাংক থেকে কৃষিঋণ প্রদান ইত্যাদি কারণে চাঁদপুরের চাষীরা ব্যাপক হারে সরিষা চাষ করছে।
বিশেষ করে চাঁদপুরের চরাঞ্চলগুলোতে ব্যাপক সরিষা চাষাবাদ ও উৎপাদন করে থাকে চাষীরা। অতীব দু:খের বিষয়-নদী তীরবর্তী হওয়ায় চরাঞ্চলের চাষীদের কৃষিঋণ দিচ্ছে না ব্যাংকগুলো।
চরাঞ্চলগুলি হলো-মতলবের চরইলিয়ট, চর কাসিম,সবজি কান্দি,জহিরাবাদ,ষষ্টখন্ড বোরোচর,চাঁদপুর সদরের রাজরাজেস্বর, জাহাজমারা, লগ্নিমারা, বাঁশগাড়ি, চিড়ারচর, ফতেজংগপুর, হাইমচরে, ঈশানবালা,চরগাজীপুর,মনিপুর,মধ্যচর, মাঝিরবাজার, সাহেববাজার ও বাবুরচর ইত্যাদি। বিপুল পরিমাণে সরিষা চাষাবাদ হয়ে থাকে ।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামার বাড়ি চাঁদপুরের সূত্র মতে,চাঁদপুর সদরে চাষাবাদ লক্ষ্যমাত্র্য ৩ শ’৫ হেক্টর এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩শ ৯৭ মে.টন।
মতলব উত্তরে চাষাবাদ হয়েছে ১ হাজার ৪ শ ১০ হেক্টর এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ৮ শ ৩৩ মে.টন।
মতলব দক্ষিণে চাষাবাদ ৬ শ’৩০ হেক্টর এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৮শ ১৯ মে.টন। হাজীগঞ্জে চাষাবাদ ৫ শ হেক্টর এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৬ শ’৫০ মে.টন।
শাহরাস্তিতে চাষাবাদ ১ শ’২০ হেক্টর এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩শ’৫৬ মে.টন । কচুয়ায় চাষাবাদ ১শ ৫০ হেক্টর এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ শ’ ৯৫ মে.টন।
ফরিদগঞ্জে চাষাবাদ ১শ ৬০ হেক্টর এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২শ ৮ মে.টন এবং হাইমচরে চাষাবাদ ৭৫ হেক্টর এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৯৭ মে.টন।
জেলার ৪ রাষ্ট্রয়ত্ব সোনালী, অগ্রণী, জনতা ও কৃষি ব্যাংক এ বছর ৫৪ লাখ টাকা ডাল, তৈল, মসলা ও ভূট্টা চাষাবাদে ঋণ হিসেবে বরাদ্দ প্রদান করেছেন বলে ব্যাংকগুলোর আঞ্চলিক কার্যালয় সূত্রে জানানো হয়েছে।
আবদুল গনি, ২৩ নভেম্বর ২০২১