চাঁদপুর দেশের অন্যতম নদীবিধৌত কৃষি প্রধান অঞ্চল। মেঘনা,পদ্মা,মেঘনা ধনাগোদা ও ডাকাতিয়া নদী এ জেলা ওপর দিয়ে বয়ে যাওযায় কৃষি উৎপাদনে নদী অববাহিকায় ব্যাপক ফসল উৎপাদন হয়ে থাকে। নদীর তীর সংলগ্ন এলাকাগুলোতে বোনা আমনের চাষাবাদ ও উৎপন্ন হয়ে থাকে। চাঁদপুরে ইরি-বোরো ও আউশের পরই বোনা আমনের স্থান।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামার বাড়ি চাঁদপুরের সূত্র মতে, চাঁদপুরে (২০১৯-২০২০)অর্থবছর ২০ হাজার ২শ’ বোনা আমম চালের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে এবং চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ১৬ হাজার ৪ শ’ ৫০ হেক্টর। বিশেষ করে চাঁদপুরের চরাঞ্চলগুলোতে ব্যাপক বোনা আমনের চাষাবাদ ও উৎপাদন করে থাকে চাষীরা। অথচ নদী তীরবর্তী হওয়ায় চরাঞ্চলের চাষীদের কৃষিঋণ পাচ্ছে না ।
চরাঞ্চলগুলি হলো-মতলবের চরইলিয়ট, চর কাসিম,সবজি কান্দি,জহিরাবাদ,ষষ্টখন্ড বোরোচর,চাঁদপুর সদরের রাজরাজেস্বর,জাহাজমারা,লগ্নিমারা,বাঁশগাড়ি, চিড়ারচর,ফতেজংগপুর,হাইমচরের ঈশানবালা,চরগাজীপুর,মনিপুর,মধ্যচর,মাঝিরবাজার,সাহেববাজার ও বাবুরচর ইত্যাদি।
প্রাপ্ত তথ্য মতে, চাঁদপুর সদরে স্থানীয় জাতের বোনা আমনের চাষাবাদ লক্ষ্যমাত্রা ৩ শ’ হেক্টর , উত্তরে চাষাবাদ হয়েছে ১ শ’৫ হেক্টর ,মতলব দক্ষিণে চাষাবাদ ১ হাজার ৪৫ হেক্টর , হাজীগঞ্জে চাষাবাদ ১ হাজার ৩ম ৭০ হেক্টর ,শাহরাস্তিতে চাষাবাদ ৪ হাজার ৫ শ’ ৫০ হেক্টর, হাইমচরে চাষাবাদ ১ শ’৫ হেক্টর । চাষীরা সাধারণত আলূ ,সরিষা,ভূট্টা ,মরিচ ও অন্যান্য রবি ফসল ঘরে তুলে ঐ জমিতেই বোনা আমনের চাষাবাদ করে থাকে । ফরিদগঞ্জে চাষাবাদ নেই ।
আবহাওয়ার অনুকূল পরিবেশ, পরিবহনে সুবিধা,কৃষকদের সরিষা চাষে আগ্রহ,কৃষি বিভাগের উৎপাদনের প্রযুক্তি প্রদান,যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নত,কৃষিউপকরণ পেতে সহজলভ্যতা,বীজ ,সার ও কীটনাশক ব্যবহারে কৃষিবিদদের পরামর্শ,ব্যাংক থেকে কৃষিঋণ প্রদান ইত্যাদি কারণে চাঁদপুরের চাষীরা বোনা আমন চাষাবাদ করছে।
আবদুল গনি , ৫ মে ২০২০
এজি