ঢাকা-১৮ আসনের উপ-নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশি জাতীয়তাবাদী কর আইনজীবী ফোরামের সভাপতি সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী মো.আব্বাস উদ্দিন।
আব্বাস উদ্দিনের অনুসারী নেতাকর্মীরা বলছেন, দলের উচ্চ পর্যায় থেকে সবুজ সংকেত পেয়ে তিনি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতার জন্য চুড়ান্ত প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ঢাকা-১৮ আসনে বিএনপির মনোনয়ন চুড়ান্তের ক্ষেত্রে অ্যাডভোকেট আব্বাস উদ্দিন বিশেষ চমক হিসাবে থাকছেন বলে অভিমত তাদের। ভার্চুয়াল মাধ্যমে তাঁর প্রার্থীতার বিষয়ে সরব বিএনপির নেতাকর্মী ও আইনজীবিরা।
ঢাকা ট্যাক্সেসবার এসোসিয়েশনের সাবেক দুই বারের নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট অ্যাডভোকেট আব্বাস উদ্দিন বর্তমানে বাংলাদেশ ট্যাক্সেসবার ল’ইয়ার এসোসিয়েশনের অতিরিক্ত মহসাচিবের দায়িত্ব পালন করছেন। সর্বশেষ অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ বার কাউন্সিল নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত প্যানেল থেকে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন এ আইনজীবি নেতা। বৃহত্তর কুমিল্লা কর আইনজীবি কল্যাণ সমিতির সভাপতি ও বৃহত্তর কুমিল্লা আইনজীবী কল্যাণ সমিতির সাবেক সভাপতি ছিলেন তিনি।
জানা যায়, ছাত্রজীবন থেকে বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত অ্যাডভোকেট আব্বাস উদ্দিন। বিএনপির দলীয় কর্মসূচি বাস্তবায়নে তিনি ছিলেন অগ্রগামী। বিশেষ করে রাজধানীতে আইনজীবিদের পক্ষ থেকে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে দেওয়া সকল কর্মসূচি বাস্তবায়নে তিনি সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া কারাবন্দী থাকা অবস্থায় দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে জাতীয়তাবাদী ঘরানার আইনজীবিদের সংগঠিত করে খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলন কর্মসূচি বেগবান করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন তিনি।
এছাড়া, বিভিন্ন সেমিনার-সিম্পোজিয়ামে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও কারাগার থেকে তার মুক্তি দাবি করে আসছিলেন আইনজীবী নেতা আব্বাস উদ্দিন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অ্যাডভোকেট আব্বাস উদ্দিন চাঁদপুর টাইমসকে বলেন, আমি দলের স্বার্থে সব সময় কাজ করেছি। বিশেষ করে আইনজীবিদের সংগঠিত করে খালেদা জিয়ার মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও মুক্তির দাবীতে আন্দোলন করে আসছিলাম। সব সময় চেষ্টা করেছি সরকারের দমন নিপিড়নের শিকার বিএনপির নেতাকর্মীদের পাশে থাকাতে। দুঃসময়ে দলীয় নেতাকর্মীদের পাশাপাশি জনগনের পাশে ছিলাম।
নির্বাচনে প্রার্থীতার বিষয়ে অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ঢাকার-১৮ আসনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। করোনার কারনে যশোর ও বগুড়া উপ-নির্বাচনে বিএনপি ছাড় দিলেও এই আসনে বিএনপি ছাড় দেবে না। এখানকার বিএনপি অত্যন্ত সংগঠিত। এ আসনে যে কোন মূল্যে বিএনপির প্রার্থীর জয় নিশ্চিত করতে নেতাকর্মীরা বদ্ধপরিকর।
মূলত বিএনপির নেতাকর্মী ও আইনজীবিরা চাওয়ায় ঢাকা-১৮ আসনের উপ-নির্বাচনে বিএনপি থেকে আমি মনোনয়ন প্রত্যাশি। আমার দৃঢ় বিশ্বাস দল যদি আমাকে মনোনয়ন দেয়, দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে আমি ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিত করে বিএনপি চেয়ারপার্সন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে উপহার দিতে পারবো, ইনশাআল্লাহ। এ আসনে নির্বাচনে ভোট কেন্দ্র দখল, কারচুপি সহ সরকারি দলের জুলম প্রতিরোধ বিএনপি ঐক্যবদ্ধ।
রাজধানীর উত্তরা ১১ নং সেক্টরের বাসিন্দা অ্যাডভোকেট আব্বাস উদ্দিন চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জের কৃতি সন্তান। সমাজসেবা ও দান অনুদানের জন্য সেখানেও তিনি বেশ জনপ্রিয়।
উল্লেখ্য, ঢাকা-১৮ আসনের সংসদ সদস্য সাহারা খাতুন গত ১০ জুলাই মৃত্যুবরণ করেন। তার মৃত্যুতে শূণ্য আসেন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হলে শিগ্রই এ আসনে উপ-নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। একাদশ সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৮ থেকে ধানের শীষের প্রার্থী ছিলেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শরিক দল জেএসডির নেতা শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন। এ আসনে বিএনপির মনোনয়ন চান দলটির ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক কফিল উদ্দিন আহমেদ এবং ঢাকা মহানগর উত্তর যুবদলের সভাপতি এসএম জাহাঙ্গীর হোসেন।
প্রতিবেদক:আতাউর রহমান সোহাগ,২১ জানুয়ারি ২০২০