আয়শা বেগমের ৫ সন্তান। স্বামী কামাল হোসেন ও মা মেহেরুন্নেছাসহ ৮ জনের বড় সংসার। মাথা গোঁজার জায়গা ছিলো না। কামাল হোসনে অভাবে পরে নিজের সব জায়গা সম্পত্তি বিক্রি করে দেন। বড় ভাইয়ের পরিবারে পরগাছা হয়ে জীবন কাটছিলো।
প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসাবে আশ্রায়ণ প্রকল্পে দুই শতক জমিসহ সেমি-পাকা ঘর পেয়ে নতুন জীবনের স্বপ্ন বুনতে শুরু করেন কামাল হোসেন ও আয়শা বেগম। আয়শা বেগমের মতো ১৫টি গৃহহীন পরিবার আশ্রয় পেয়েছে কচুয়া উপজেলার বজুরীখোলা গ্রামে।
২৩ জানুয়ারি ঘর হস্তান্তরের ৭ মাস পর সুবিধাভোগী ১৫টি পরিবারের জীবনযাত্রার ইতিবাচক পরিবর্তন হয়েছে। উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে আর্সেনিক মুক্ত পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে। কেউ নিজের সুবিধামতো ঘরের পরিবর্তন করেছেন। অনেকের ঘরে টিভি, ফ্রিজ, সোফাসেট, ডাইনিং টেবিল আছে। প্রায় প্রত্যেক ঘরের সামনে রয়েছে সবজির বাগান ও ফলের গাছ। ঘরের চাল ও মাচায় দুলছে টাটকা সবজি। বড় সংসার হওয়ায় আয়শা বেগম নিজ উদ্যেগে ঘরের পরিবর্তন করে রুম বাড়িয়ে নিয়েছেন।
আয়শা বেগম বলেন, তিনি সুখে আছেন ভালো আছেন। নতুন জীবন দান করায় প্রধানমন্ত্রীর নিকট কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। সফিক মিয়া, মনি বেগম, রাবেয়া বেগম, হাছিনা বেগমের সাথে কথা বললে, তারা শুকরিয়া আদায় করেন। মহিলাদের কর্মসংস্থানের জন্য তারা সরকারের কাছ থেকে সহযোগিতা চান।
গৃহ নির্মাণ কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপায়ন দাস শুভ বলেন, মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছেন কোনো মানুষ গৃহহীন থাকবেনা।
প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছার বাস্তবায়নে কাজ করতে পেরে গর্ববোধ করছি। গৃহহীনদের ঘর তৈরি করে দেয়ার মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর আবেগ জড়িত। আমরা তার আবেগের সাথে একাত্ম হয়ে কাজ করেছি। তাদের কর্মসংস্থান করতে যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা, একটি বাড়ি একটি খামার-এর কর্মকর্তারা কাজ করে যাচ্ছে।
উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি আব্দুল মতিন মেম্বার ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মোছলেম উদ্দিন ১৫টি পরিবারের স্থানীয় অভিভাবক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
প্রতিবেদক: জিসান আহমেদ নান্নু, ৮ এপ্রিল ২০২১
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur