চাঁদপুরে করোনার উপসর্গে আরো ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ৩ জন চাঁদপুর সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। মৃতদের মধ্যে বাবুরহাট বাজার সংলগ্ন পাশাপাশি বাড়ির ৩জন রয়েছেন।
করোনার উপসর্গে মৃতরা হলেন- হাজীগঞ্জের বলাখাল এলাকার নূরে আলম (৫০), বাবুরহাট এলাকার হাবিব খান (৭০) ও আনোয়ার খান (৫০), পাশের বাড়ির মোফাজ্জল পাটওয়ারী (৬৫), ফরিদগঞ্জের নয়ারহাট এলাকার তাজুল ইসলাম (৩২), মতলব দক্ষিণের মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেন (৬৭) ও অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংকার অহিদুজ্জামান খন্দকার (৭০)।
হাজীগঞ্জের বলাখাল এলাকার নূরে আলম (৫০) বুধবার রাত ১০টার দিকে চাঁদপুর সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। তিনি ওইদিন দুপুর আড়াইটায় করোনার উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। বৃহস্পতিবার সকালে তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়। তাকে বিশেষ ব্যবস্থায় দাফন করা হয়েছে।
চাঁদপুর সদর উপজেলার বাবুরহাট বাজার সংলগ্ন খান বাড়ির হাবিব খান (৭০) বুধবার বিকেলে জ্বর নিয়ে বেলভিউ হাসপাতালে ডা. সুজাউদ্দৌলা রুবেলকে দেখাতে আসেন। তার মধ্যে করোনার উপসর্গ লক্ষ্য করায় ডা. রুবেল তাকে সদর হাসপাতালে ভর্তির জন্য বলেন। ওইদিন সন্ধ্যায় তিনি সদর হাসপাতালে ভর্তি হন। বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
ফরিদগঞ্জের নয়ারহাট এলাকার তাজুল ইসলাম (৩২) করোনার উপসর্গ নিয়ে বৃহস্পতিবার সকালে চাঁদপুর সদর হাসপাতালের আইসোলেশনে ভর্তি হন। দুপুর আড়াইটার দিকে তিনিও মারা যান। অর্থাৎ আধাঘণ্টার ব্যবধানে সদর হাসপাতালে দুইজন মারা যান। তাজুল ইসলামের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
বাবুরহাট বাজার সংলগ্ন খান বাড়ির আনোয়ার খান (৫৫) বৃহস্পতিবার বিকেল সোয়া ৫টার দিকে ঢাকা নেয়ার পথে মারা যান। তিনি দীর্ঘদিন বাড়িতেই জ্বরে ভুগছিলেন। তিনি একই দিনে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে মারা যাওয়া হাবিব খানের ভাতিজা।
মৃত আনোয়ার খানের পাশের বাড়ির মোফাজ্জল পাটওয়ারী (৬৫) বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ঢাকা নেওয়ার পথে মারা গেছেন। তিনি কয়েকদিন ধরে জ্বরে আক্রান্ত ছিলেন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। তিনি অবসরপ্রাপ্ত সরকারি চাকুরিজীবী ছিলেন।
এছাড়া মতলব দক্ষিণ উপজেলার উপাদী উত্তর ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেন (৬৭) ও খাদেরগাঁও ইউনিয়নের অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংকার অহিদুজ্জামান খন্দকার (৭০) করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন।
আবুল হোসেন ভোর ৪টার দিকে ঢাকার সিএমএইচ হাসপাতালে মারা যায়। সকাল ৮টার দিকে অহিদুজ্জামান মারা গেছেন নিজ বাড়ি খাদেরগাঁও ইউনিয়নের বেলুতী গ্রামে। তাদের থেকে স্যাম্পল নেয়া হয় এবং বিশেষ ব্যবস্থায় দাফন করা হয়। এর মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেনকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়। (প্রবাহ)
১১ জুন ২০২০
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur