উপকূলে ঘূর্ণিঝড় ‘রিমাল’র প্রভাব শুরু

উপকূলে আঘাত হানতে শুরু করেছে প্রবল ঘূর্ণিঝড় রিমাল। শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্রে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ থেকে ১২০ কিলোমিটার। আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে, রিমালের মধ্যভাগ উপকূল অতিক্রম করবে মধ্যরাত নাগাদ। পায়রা ও মোংলা বন্দরসহ উপকূলবর্তী নয় জেলাক ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত এবং চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারসহ ছয় জেলাকে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ১৬ জেলায় ১০-১২ ফুটের বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। রিমালের প্রভাবে পটুয়াখালীতে মৃত্যু হয়েছে একজনের।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে, বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড়টি পটুয়াখালীর খেপুপাড়া ও সুন্দরবন অঞ্চল দিয়ে উপকূল অতিক্রম করতে শুরু করে সন্ধ্যার পর থেকে। আর রিমালের মধ্যভাগ উপকূল অতিক্রম করবে মধ্যরাতে, অর্থাৎ ঘূর্ণিঝড়টি প্রবল বেগে আঘাত হানতে পারে তখনই। পায়রা ও মোংলা বন্দরসহ উপকূলবর্তী নয় জেলা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

চট্টগ্রাম, কক্সবাজার বন্দরসহ উপকূলবর্তী আরো ৬ জেলাকে নয় নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। নিরাপদে থাকতে বলা হয়েছে সমুদ্র সৈকতে বেড়াতে যাওয়া পর্যটকদের।

রিমালের প্রভাবে এরইমধ্যে দেশের বিভিন্ন এলাকায় দমকা ও ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হচ্ছে। ঘূণিঝড়ের ফলে কোথাও কোথাও গাছ উপড়ে পড়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ঘর বাড়ি।

উপকূলবর্তী জেলাগুলোর বেশিরভাগ এলাকায় রোববার সারাদিন ভারী বৃষ্টিপাতের পাশাপাশি গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছে। সমুদ্রপৃষ্ঠের পানি বেড়ে গিয়ে জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে উপকূলের বেশ কয়েকটি জেলা। এসব এলাকায় জোয়ারের পানি বাড়ছে অস্বাভাবিকভাবে।

রিমালের প্রভাবে উপকূলবর্তী ১৬ জেলায় ১০-১২ ফুট জলোচ্ছ্বাস হতে পারে জানিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তর বলেছে, ঘূর্ণিঝড়টির শেষভাগ উপকূল অতিক্রম শেষ করতে সময় লাগতে পারে শেষ রাত পর্যন্ত।

এদিকে, ঘূর্ণিঝড় রিমাল মোকাবেলায় প্রস্তুতি সংক্রান্ত সভায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন, অতীতের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে ঝড় মোকাবিলায় সার্বিক প্রস্তুতি নেওয়া হয়ছে। একইসঙ্গে উপকূলের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার বাসিন্দারে নিরাপদে থাকতে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

চাঁদপুর টাইমস ডেস্ক/ ২৬ মে ২০২৪

Share