‘উন্নয়নে রোল মডেল, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ’ এই শ্লোগানকে ধারণ করে তৃতীয়বারের চাঁদপুরে উন্নয়ন মেলার দ্বিতীয় দিন অতিবাহিত হয়ে আজ শনিবার (১৩ জানুয়ারি) অনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে উন্নয় মেলার ইতি টানবে।
সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলবে মেলার কার্যক্রম এবং সাড়ে ৫টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা ৩০মিনিট পর্যন্ত সাংস্কৃতি অনুষ্ঠান। পরে সাড়ে ৭টা থেকে ৮টা পর্যন্ত পুরস্কার বিতরণী ও সমাপনী অনুষ্ঠান।
পুরস্কার বিতরণী ও সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া।
এদিন সকাল ১০টায় মুক্তিযুদ্ধা বিষয়ক প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শনী। বেলা ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত স্টলে জনগণকে সরাসরি সেবা প্রদান। দুপুর ১২টা থেকে ২টা পর্যন্ত সবা প্রদানে গ্রহকদের ফিডব্যাক, অভিযোগ গ্রহণ ও নিষ্পত্তি। বেলা ২টা ৩০মিনিট থেকে ৩টা পর্যন্ত ভিশন ২০২১ ও ২০৪১ এর ওপর পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনা।
বেলা ৩টা থেকে সাড়ে ৩টা পর্যন্ত জনসেবায় আইসিটির ব্যবহারের উপর পাওয়ার পয়েন্ট পস্থাপনা। আয়োজনে আইসিটি শাখা জেলা প্রশাসন চাঁদপুর। বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত জেলা ব্র্যান্ডিং এর ওপর পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনা এবং জেলার ঐতিহ্য ও পর্যটনের উপর আলোচনা সভা।
বিকেল ৪টা থেকে ৫টা পর্যন্ত রিয়েলিটি শো। সন্ধ্যা সাড়ে ৫টা থেকে সাড়ে ৭টা পর্যন্ত সেলিব্রিটিদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতি অনুষ্ঠান। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে ৮টা পর্যন্ত পুরস্কার বিতরণী ও সমাপনী অনুষ্ঠান।
এদিকে শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) সন্ধায় চাঁদপুরে স্টেডিয়ামে গিয়ে দেখা গেছে মেলায় আগত দর্শনার্থীদের বিভিন্ন ভাবে আকৃষ্ট করছে স্টলগুলোর কর্মীরা। এমন চিত্র দেখা মিলে সেন্টার ডেভেলপমেন্ট ইনোভেশন এন্ড প্র্যাকটিসেস (সিদীপ) স্বাস্থ্যসেবা ক্যাম্পে।
সংস্থার চলমান কার্যক্রম সমূহগুলো হচ্ছে : ক্ষুদ্র ঋণ কার্যক্রম, সঞ্চয় কার্যক্রম, স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম, সৌর বিদ্যুৎ কর্মসূচি, শিক্ষা সহয়তা কর্মসূচি, শিক্ষা বৃত্তি প্রদান প্রকল্প, সিদীপ মডান স্কুল, রেমিট্যান্স কার্যক্রম, সমৃদ্ধি কর্মসূচি (ভিক্ষুক পূর্ণবাসন কর্মসূচি স্যানিটেশন), ক্রীড়া সাংস্কৃতি কর্মসূচি ও উদ্ভাবনী কার্যক্রম (গাড়ল উন্নত জাতের ভেড়া, টার্কি, হাইব্রীড ফল।
প্রসঙ্গত উন্নয়ন মেলার লক্ষ্য-উদ্দেশ্য হলো জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সরকারের গৃহীত উন্নয়ন কার্যক্রম সর্বস্তরের মানুষের মাঝে তুলে ধরা। মানুষকে সরকারের উন্নয়ন কাজের সাথে সম্পৃক্ত করা। সরকারের ভবিষ্যৎ কর্পমরিকল্পনা, এমডিজি অর্জনে সরকারের সাফল্য প্রচার ও এসডিজি কার্যক্রম বাস্তবায়নে জনগণকে উদ্ভুদ্ধ করা, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও সরকারি কর্মকর্তাদের যৌথ অংশগ্রহণে স্থানীয় সমস্যা সম্পর্কে মতবিনিময় ও বাস্তবায়ন পরিকল্পনা তৈরি।
প্রতিবেদক : আহম্মদ উল্যাহ
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ১২ : ২০ পিএম, ১৩ জানুয়ারি ২০১৮, শনিবার
এইউ