দেশকে পরিবর্তন করতে হলে আমাদের সবার নিজ নিজ স্থান থেকে ভূমিকা রাখতে হবে। এজন্য আমাদের এখন স্কীল ডেভোলাপমেন্ট করতে হবে। যদি আমরা তা করতে সক্ষম হই তাহলে অর্থনৈতিক পরিবর্তন দ্রুত হবে বলে মন্তব্য করছেন ড্যাফোডিল গ্রুপের চেয়ারম্যান ড. মো. সবুর খান।
৩০ নভেম্বর শুক্রবার সন্ধ্যায় চাঁদপুর রোটারী ক্লাবের ৫৪তম অভিষেক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন
তিনি।
সন্ধ্যা ৬টার দিকে চাঁদপুর রোটারী ক্লাব ভবনে ক্লাবের ২০২৪-২৫ রোটারী বর্ষের বোর্ড অব ডিরেক্টরস্রে সদস্যরা অনুষ্ঠানিকভাবে অভিষিক্ত হন।
ড. মো. সবুর খান আরো বলেন, চাঁদপুর রোটারী ক্লাব চাইলে স্কীল ডেভেলাপমেন্ট প্রজেক্ট নিয়ে কাজ করে নোবেল পুরস্কার লাভ করতে পারে। যদি একটি মডেল তৈরি করতে পারে। এজন্য প্রত্যেকেই ছোট ছোট উদ্যোগ নিলে এই অঞ্চলের ছেলে-মেয়েরা এক সময় শিক্ষায় সাফল্য অর্জন করে দেশের বাইরে গিয়ে কোন না কোন কাজ করতে পারি। তাহলে সবাইকেই ভালো রাখতে সক্ষম হবে।
ড. সবুর খান বলেন, আমি কম্পিউটার ব্যবসা দিয়ে নিজকে আজ এই অবস্থানে নিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছি। যার কারণে আজ আমার ড্যাফোডিল পরিবার। এখানে প্রায় ৩৫ হাজার লোক কাজ করেন। যাদের প্রত্যেকেই প্রায় আমার প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী কিংবা প্রশিক্ষণার্থী। এই পরিবারটি শিক্ষাখাতে অমূল পরিবর্তন আনতে সক্ষম হয়েছে। এজন্য আমাদের উদ্যম ও উদ্যোক্তা হওয়ার চেষ্টা অব্যহত রাখতে হবে।
ড. সবুর খান বলেন, কাজের জন্য যে কোন উদ্যেগেই আমরা সফল হতে পারি। কেবল ভালো আইডিয়া গ্রহণ করতে পারলেই হলো। আমাদের দেশে বন্যা হলে আমারা ত্রান দেই কিংবা কাপড় দেই। কিন্তু বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ হয় মুলত ফসল। যার প্রভাব পরে আমাদের কৃষিতে। এজন্য আমি আমাদের দেশের কৃষি বিজ্ঞানী প্রফেসর আবুদর রহিমকে পরামর্শ দেই কৃষির জন্য আপনি ভালো কিছু করতে পারেন। এজন্য আপনি চাইলে বন্যা পরবর্তীতে বীজ না দিয়ে গাছের ছারা দিতে পারেন। তাহলে বন্যা শেষে কৃষক ছাড়া রোপণ করে দ্রুত ফসল উৎপাদন করতে পারে। তিনি আমার পরামর্শ নেন, সাথে আমি ৪/৫ লাখ টাকা দেই। সাথে আমাদের প্রতিষ্ঠানের কিছু শিক্ষার্থীদের নিয়ে তিনি প্রাথমিকভাবে উদ্যোগটি বাস্তবায়ন করেন। বর্তমানে তিনি বছরে প্রায় সাড়ে ৩ কোটি গাছের ছারা কৃষকদের হাতে তুলে দেন। তার এই প্রকল্প দেখে বিশ^ব্যাংক এগিয়ে এসেছেন এবং বলছেন এটি একটি মডেল। এভাবেই আমারা দেশের সব ক্ষেত্রে কিছু না কিছু করতে পারি। এক্ষেত্রে চাঁদপুর রোটারী ক্লাব উদ্যোগ নিলে আমার ডেফ্যোডিল পরিবার আপনাদের সাথে থাকবে।
অভিষেক অনুষ্ঠানের চেয়ারম্যান রোটা. কাজী শাহাদাতের পরিচালনায় অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে সভাপতিত্ব করেন ক্লাবের ২০২৩-২৪ রোটারী বর্ষের প্রেসিডেন্ট রোটা. অ্যাড. শরীফ মাহমুদ ফেরদৌস শাহীন এবং দ্বিতীয় পর্বে সভাপতিত্ব করেন ২০২৪-২৫ রোটারী বর্ষের প্রেসিডেন্ট রোটা. অ্যাড. মো. নজরুল ইসলাম।
বক্তব্য রাখেন কুমিল্লা রোটারী ক্লাবের সেক্রেটারী রোটা. মাসুদুর রহমান সিকদার, চাঁদপুর সেন্ট্রাল রোটারী ক্লাবের পাস্ট প্রেসিডেন্ট রোটা. মনির হোসেন বাবুল, হাজীগঞ্জ রোটারী ক্লাবের প্রেসিডেন্ট রোটা. যুগল কৃষ্ণ হালদার, চাঁদপুর রোটারী ক্লাবের পাস্ট প্রেসিডেন্ট রোটা. সুভাষ চন্দ্র রায়, রোটা. ডা. এসএম শহীদুল্লা, ডা. এমজি ফারুক ভূঁইয়া, রোটা. অ্যাড. ইকবাল-বিন-বাশার, রোটা. মঞ্জুরুল কাদের সোহেল প্রমুখ।
প্রধান অতিথি ড. সবুর খানের জীবনী পাঠ করেন চাঁদপুর রোটারী ক্লাবের পাস্ট প্রেসিডেন্ট রোটা. প্রফেসর গোলাম মোস্তফা।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন রোটা. অ্যাড. শাহাদাত হোসেন, গীতা পাঠ করেন রোটা. গোপাল চন্দ্র সাহা, রোটারী প্রত্যয় পাঠ করেন রোটা. রফিকুল ইসলাম, বার্ষিক প্রতিবেদন পাঠ করেন রোটা. উজ্জল হোসাইন। অনুষ্ঠানে চাঁদপুরের বিসিবির সহকারী কোচ শামীম আহমেদ ফারুকীকে সম্মাননা প্রদান শেষে চাঁদপুর রোটারী ক্লাবের সেক্রেটারী রোটা. মাহবুবুর রহমান সুমনের ধন্যবাদ প্রদানের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শেষ হয়। পরে র্যাফেল ড্র অনুষ্ঠিত হয়।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ২ ডিসেম্বর ২০২৪