গ্রামীণ জনপদে সার্বক্ষনিক বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে কচুয়ার উত্তর পালাখাল-৩ ও রহিমানগরের গোহট-২ সরকারী অর্থায়ানে দু’টি বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র (সাব সেন্টার) নির্মিত হয়েছে।
চাঁদপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১, কচুয়া ৩৩/১১ কেভি ২০ এমবিএ পালাখাল বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র-৩, বিগত ০৯জুন বর্নাঢ্য আয়োজনে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর এমপি ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
জানা যায়, বিশ্বব্যাংকের আওতায় ও চাঁদপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির-১ এর সার্বিক সহযোগিতায় কোটি টাকা ব্যয়ে এ কাজের ঠিকাদারি দায়িত্ব পায় রায়ান্ট ইঞ্জিনিয়ারর্স লিঃ এর পরিচালক মোঃ বেলায়েত হোসেন।
আর এ কাজে সার্বিক সহযোগিতা করছেন, পালাখাল গ্রামের অধিবাসী আওয়ামী লীগ নেতা মোঃ মিজানুর রহমান সরদার (জাপানী মিজান)। তিনি ওই কাজের ভিত্তি প্রস্তর উদ্বোধনের পর থেকে দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদারের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এ কাজ সঠিক ভাবে পরিচালনা করে আসছেন।
বর্তমানে এ কাজের প্রায় ৯০ ভাগ কাজ শান্তিপূর্ণ ভাবে সম্পন্ন হয়েছে। বিশেষ করে অত্যধুনিক ভবন নির্মান কাজ, টাইল্স বসানোসহ বৈদ্যুতি সরঞ্জামাদী স্থাপনের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে।
আগামী ২-১ মাসের মধ্যে সকল কাজ সম্পন্ন করে এ বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রের যাবতীয় কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করা যাবে বলে দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদাররা দাবী করছেন।
কাজের দায়িত্বপ্রাপ্ত সহযোগি ঠিকাদার মোঃ মিজানুর রহমান সরদার (জাপানী মিজান) বলেন, কচুয়া পৌর শহরের বাহিরে কচুয়ার উত্তরাঞ্চল ও দক্ষিনাঞ্জলে বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র দু’টি কেন্দ্র স্থাপন এলাকাবাসীর দাবী ছিল দীর্ঘদিনের।
পালাখাল ছাড়াও রহিমানগরের গোহট বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র-২ নামে আরো একটি অত্যাধুনিক মানের বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র প্রায় কাজ শেষের পথে। বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র দু’টির মাধ্যমে এলাকার মানুষ বিদ্যুৎ বিভ্রান্তি থেকে রক্ষা পাবে।
কাজের ঠিকাদার রায়ান্ট ইঞ্জিনিয়ার্স লিঃ এর পরিচালক মোঃ বেলায়েত হোসেন জানান, সরকারের নীতিমালা মেনে কাজ করি। এ অঞ্চলে দু’টি বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র ভবন নির্মানে স্থানীয় প্রশাসন ও এলাকাবাসীর সহযোগিতা নিয়ে কাজ প্রায় সম্পন্ন করেছি। সে জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।
এ ব্যাপারে কচুয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম জাহাঙ্গীর আলম বলেন, উত্তর পালাখাল ও গোহটে জমি অধিগ্রহনের মাধ্যমে উন্নত নাগরিক সেবা দানের লক্ষ্যে দ’ুটি বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে।
এর মাধ্যমে সাধারণ মানুষ সাধারণ ভোল্টেজের আওতায় আসবে এবং সার্বক্ষনিক বিদ্যুৎ সুবিধা পাবে। তাছাড়া এই বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র স্থাপনের মাধ্যমে এলাকায় সেচ মৌসুমে বিদ্যুৎ পাবে এবং এলাকায় নতুন নতুন শিল্প কারখানা তৈরীর সুযোগ হওয়ার পাশাপাশি কচুয়াসহ চাঁদপুরে বিদ্যুতের চাপ কমে যাবে।
এদিকে কচুয়ার উত্তর পালাখাল ও গোহট গ্রামে দুটি অত্যাধুনিক বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র স্থাপন করায় বর্তমান সরকার, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয় ও দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদারদের কৃতজ্ঞতা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
প্রতিবেদক : জিসান আহমেদ নান্নু