পবিত্র হজ পালনে সৌদি আরবের জেদ্দায় পৌঁছেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। স্থানীয় সময় রাত ১০টা ৫০ মিনিটে বেগম খালেদা জিয়া ও তার সফর সঙ্গীদের বহনকারী এয়ারলাইন্সের এস ভি ৮০৩ ফ্লাইটে জেদ্দা বাদশাহ আব্দুল আজিজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন।
বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান রয়েল ফটকলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। এ সময় সৌদি আরব পশ্চিমাঞ্চল বিএনপির প্রধান উপদেষ্টা জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আলহাজ্ব আব্দুর রহমান ও সৌদি আরব পশ্চিমাঞ্চল বিএনপির সভাপতি আহমেদ আলী মুকিব স্বাগত জানান এবং ফুলেল শুভেচ্ছায় অভিষিক্ত করেন।
বিমান বন্দরের বাহিরে বিএনপির বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী ও সমর্থকরা জড়ো হন । এতে উপস্থিত ছিলেন সৌদি আরব বৃহত্তর সিলেট বিএনপির নেতৃবৃন্দসহ তৃনমূল বিএনপির নেতা ও কর্মী । খালেদা জিয়ার সফরসঙ্গী হিসেবে রয়েছেন-বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক বিশেষ দূত এনামুল হক চৌধুরী, বিএনপির তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক শরীফ শাহ কামাল তাজ, খালেদা জিয়ার একান্ত সচিব এবিএম আবদুস সাত্তার, ব্যক্তিগত আলোকচিত্রী নুরুদ্দিন আহমেদ ও গৃহকর্মী ফাতেমা বেগম।
বৃহষ্পতিবার (৮ সেপ্টম্বর ) স্থানীয় সময় সকাল ৯ টায় সৌদি বাদশার রাজকীয় অতিথি হিসেবে পবিত্র হজ্ব পালনে সৌদি আরবের জেদ্দায় পৌঁছেছেন বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান সৌদি আরব পশ্চিমাঞ্চল বিএনপির সিনিয়র নেতারা। তারেক রহমানের সফরসঙ্গী হিসেবে আছেন তার স্ত্রী জোবায়দা রহমান, কন্যা জাইমা রহমান, মরহুম আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলী রহমান ও সন্তানরা।
এরপর জেদ্দায় রয়েল প্যালেসে মা-ছেলের সাক্ষাৎ হয়। বৃহষ্পতিবার (৮ সেপ্টম্বর ) সৌদি আরব সময় বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে হজ্ব করার জন্য মক্কার উদ্দেশ্য তাদের রওনা হওয়ার কথা।
২৯ সেপ্টেম্বর বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বাংলাদেশে এবং সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের যুক্তরাজ্যের উদ্দেশে রওনা দেবেন।
পবিত্র হজ পালন উদ্দেশ্য হলেও বিএনপির চেয়ারপারসন ও তার ছেলে তারেক রহমানের মধ্যে দেশের সার্বিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও বিএনপির সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে শলাপরামর্শ হবে বলে জানিয়েছেন। দলে নতুন নেতৃত্ব নিয়ে আসা, চাঙ্গা করে দলকে সরকার বিরোধী আন্দোলনে কিভাবে সক্রিয় করা যায় তা’স্বাভাবিকভাবেই বিএনপির এ শীর্ষ দু’নেতার মধ্যে আলোচনা হবে বলে মনে করছেন দলটির নেতাকর্মীরা। রাজনৈতিক অঙ্গনেও তাদের এ আলোচনা নিয়ে রয়েছে বিশেষ আগ্রহ।
তারেক রহমান ২০১৪ সালের জুলাই মাসে উমরাহ পালনে গিয়ে সৌদি আরবে মায়ের সঙ্গে মিলিত হয়েছিলেন। খালেদা জিয়ার এটি তৃতীয় হজ। ১৯৯১ সালে প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে একবার এবং ১৯৯৭ সালে বিরোধী দলে থাকাকালে খালেদা জিয়া দু’ বার:হজ করেছেন। এছাড়া প্রায় প্রতিবছরই রমজানে তিনি উমরাহ পালন করেন।