ঘূর্ণিঝড় ‘রোয়ানুর’ প্রভাবে চাঁদপুরসহ, শরীয়তপুর, ভোলার অংশে উত্তাল হয়ে ওঠেছে মেঘনা নদী। শুক্রবার থেকে শনিবার (২১ মে) বিকেল পর্যন্ত টানা বৃষ্টির পাশাপাশি দমকা হাওয়া অব্যাহত থাকায় লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে বরিশাল, ভোলা ও ঢাকাগামী শতাধিক যাত্রী চাঁদপুরে আটকা পড়েছে।
দুর্ঘটনা এড়াতে শুক্রবার রাত থেকে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত চাঁদপুর শহরসহ জেলাজুড়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রাখা হয়েছে। চাঁদপুর শহরের অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ থাকায় জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে।
মুঠোফোনে চাঁদপুর বিদ্যু বিভাগ থেকে বিষয়টি চাঁদপুর টাইমসকে নিশ্চিত করে জানানো হয়, ঝড়ে প্রভাব কেটে গেলে যেকোনো সময় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হবে।
এদিকে লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকায় যাত্রীরা উত্তর শ্রীরামদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অবস্থান করছেন। পৌরসভা পক্ষ থেকে ৭নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শাহ আলম বেপারী তাদেরকে শুকনা খাবার পরিবেশন করেছেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডা. গোলাম হোসেন জুয়েল, স্কুলের প্রধান শিক্ষক শাহজাহান সিদ্দিকী, সাংবাদিক শাহ আলম মল্লিক প্রমুখ।
এছাড়া ভোগান্তিতে থাকা যাত্রীদেরকে মাদ্রাসা রোডের স্থানীয়দের সহযোগিতায় দুপুরের খাবারের ব্যবস্থা করা হয়।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় রোয়ানুর মোকাবিলায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাপক সতর্কতামূলক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের ডপলার রাডার পর্যবেক্ষণ থেকে দেখা যায়, ঘূর্ণিঝড়টি উপকূল ঘেঁষে উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উত্তরপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশ উপকূল এলাকায় অবস্থান করছে।
চট্টগ্রাম, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরে এখনো ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং এসব জেলার অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ৭ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।
কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার ও এর অদূরবর্তী দ্বীপ এবং চরসমূহ ৬ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোর নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৪-৫ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় অতিক্রমের সময় কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, পিরোজপুর জেলাসমূহ এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোতে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণসহ ঘণ্টায় ৬২-৮৮ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
চাঁদপুর টাইমস রিপোর্ট, ভিডিও সংগ্রহ- মো. জাবেদ হোসেন :
আপডেট, বাংলাদেশ সময় ৪:০৫ পিএম, ২১ মে ২০১৬, শনিবার
ডিএইচ
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur