Monday, 04 May, 2015 11:56:58 PM
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট:
চাঁদপুর সদর উপজেলার ৯নং বালিয়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের উত্তর ইচলীতে সরকারি খাল জোরপূর্বক ভরাট করায় ৩ গ্রামের পানি নিস্কাশন বন্ধ হয়ে গেছে।
নিজ গাছতলা, ইসলামপুর গাছতলা, উত্তর ইচলীসহ নানুপুরের বেশ কিছু অংশ মোট ৫শত একর জমিতে পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা বন্ধ হওয়ার কারনে ফসল বিনিষ্ট হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। এ নিয়ে স্থানীয় কৃষকদের মনে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।
এ ঘটনায় বাগাদী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ আবু তাহের মিজি বাদী হয়ে চাঁদপুর মডেল থানাসহ জেলা প্রশাসন, পুলিশ সুপার, উপজেলা নিবার্হী কর্মকতা, কৃষি কর্মকতা, উপজেলা ভূমি অফিস সহ প্রশাসনের কয়েকটি বিভাগে অভিযোগ প্রদান করেছেন।
অভিযোগের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার চাঁদপুর মডেল থানার এস আই মনিরুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনা স্থালে গিয়ে সরকারি খাল ভরাট করে দখল করার সত্যতা পান।
সোমবার দুপুরে ঘটনাস্থলে গিয়ে জানাযায় উত্তর ইচলী গ্রামের সলিমুল্লাহ বেপারীর ছেলে আমীন বেপারী ও ইসমাইল বেপারী বেশ কয়েক দিন পূর্বে ভাড়াটিয়া লোকজন নিয়ে নিজ গাছতলার উত্তর ইচলীর শত বছরের পূর্বে সরকারি খালটি পাইলিং করে ভরাট করে।
তারা ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে জোরপূর্বক সরকারি খাল ভরাট করে বসতবাড়ী নির্মানের চেষ্টা করছে। খাল দখল করার সময় তিন গ্রামের সর্বস্তরের মানুষ একত্র হয়ে বাঁধা প্রদান করলে এ নিয়ে ধাপায় ধপায় সংঘর্ষ সৃষ্টি হয়। সলিমুল্লাহ বেপারীর ২ ছেলে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীদের এনে প্রতিবাধকারীদের উপর হামলা চালায়।
স্থানীয় কৃষকরা জানান, ৩ গ্রামের ৫শত একর ফসলি জমিতে পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা সম্পন্ন ভাবে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চলতি বছরে ফসল বিনিষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। মধ্য ইচলীর আমীন বেপারী, ইসমাইল বেপারী প্রভাব প্রতিপত্তি খাটিয়ে সরকারি খাল ভরাট করে পানি নিস্কাশনের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। এ ঘটনায় পুরো এলাকায় রক্ষক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা দেখা দিয়েছে।
এ দখলবাজদের আইনের আওত্তায় এনে দৃষ্টন্তমূলক শাস্তি প্রদান করে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের কথা চিন্তা করে দখলকৃত খালটি অবমুক্ত করার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছন। কৃষক বাঁচলেই দেশ বাচঁবে, ভবিষৎতে এলাকার কৃষি সম্পদকে বাঁিচয়ে রাখার স্বার্থে খালটি অবমুক্ত অতি জরুরি বলে কৃষকরা জানান।
এ বিষয়ে চাঁদপুর মডেল থানার তদন্ত কর্মকতা মনিরুল জানান, দখলবাজদের আটক করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ছাড়া শ্রমীক নিয়ে খালটি খনন করে অবমুক্ত করা হবে। এ ব্যাবপারে দখলদার আমীন বেপারীর পিতা সলিমুল্লাহ বেপারী জানান, ‘স্থানীয় মেম্বারের ইন্দনে আমার ২ ছেলে খালটি ভরাট করেছে। তবে পানি নিস্কাশনের জন্য মাটি কেটে কালভাট করে দেওয়া হবে।’
চাঁদপুর টাইমস/ডিএইচ/এসই/২০১৫