নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে স্থানীয় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে গোপনে সমঝোতার করে আবারও রেললাইনের পাশে দোকান নির্মাণের মাধ্যমে মাকেটের কাজ শুরু করেছে একটি চক্র।
দোকান নির্মাণের আগেই ওই চক্রটি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে প্রতারণা করে ২৪ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) গভীর রাত থেকে লাইটের আলো ব্যবহার করে তারা মার্কেট নির্মাণ কাজ শুরু করে।
এতে চাঁদপুর রেলওয়ে এলাকায় ও স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কর্তৃপক্ষ বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য রেলওয়ে চট্টগ্রাম বিভাগীয় প্রকৌশলী-১ (ডিএন) কে নির্দেশ দিয়েছে।
গত সেপ্টেম্বর মাসে নির্মাণকাজ শুরু হলে পত্রিকায় খবর প্রকাশিত হয়। তখন নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেয়া হয়। কিন্তু আবারও সেখানে নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে।
রেলওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উছমান গণি পাঠান চাঁদপুর টাইমসকে জানান, ‘চাঁদপুর-লাকসাম রেল পথের চাঁদপুর কোর্ট স্টেশন এলাকার বকুলতলায় গত ৫ সেপ্টেম্বর ছাব্বির ছৈয়াল, আকবর পাটওয়ারী, বাদশা ভূঁইয়া ও শাহাদাত হোসেন সবুজ অবৈধ ভাবে রেললাইনের পাঁচ ফুটের মধ্যে আটটি পাকা দোকান ঘর নির্মাণের মাধ্যমে মাকেট করছিলো। এ ঘটনায় রেলওয়ের লাকসামে কর্মরত ও চাঁদপুরের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মর্কর্তা রাম নারায়ন ধর তাদের বিরুদ্ধে চাঁদপুর রেলওয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
পরে অভিযোগের ভিত্তিতে রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে এসে তিনজন শ্রমিককে আটক করে এবং র্নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেন। এ সময় রেললাইনের পাশে নির্মাণকাজ না করার জন্য অবৈধ নির্মাণকারীদের কাছ থেকে মুচলেকা নেন।
দীর্ঘ দিন কাজ বন্ধ থাকার পর অবৈধ নির্মাণকারীদের ২৪ লাখ টাকা ফেরত দেয়ার জন্য ব্যবসায়ীরা ভূমিদস্যু চক্রকে চাপ দেন। কিন্তু ভূমিদস্যুরা টাকা ফেরত না দিয়ে স্থানীয় রেলওয়ের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তাদের সঙ্গে গোপন সমঝোতার মাধ্যমে আটটি দোকান পুনরায় নির্মাণের মাধ্যমে মাকেটের শুরু করে।
বাংলাদেশ রেলওয়ের চট্টগ্রাম বিভাগীয় ম্যানেজার (ব্যবস্থাপক) ডিআরএম আবুল কালাম চৌধুরী চাঁদপুর টাইমসকে বলেন, ‘স্থানীয় রেলওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জকে অবৈধ নির্মাণকাজ বন্ধ করার জন্য বলা হয়েছে। এছাড়া চট্টগ্রাম বিভাগীয় প্রকৌশলী-১ (ডিএন) কে এ বিষয়ে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেবেন।’