প্রকাশের সময় : ০৮ এপ্রিল ২০১৫ ১৮:৩০
মিজানুর রহমান রানা :
বাংলাদেশের প্রায় সব জেলায়ই ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠেছে একশ্রেণির দালাল চক্র, যারা ছাত্র-ছাত্রীদের উচ্চশিক্ষার নামে বিদেশে পাঠানোর অফিস খুলে বসেছে। আর এসব দালাল চক্র ছাত্র-ছাত্রীদের উচ্চ শিক্ষার নামে তাদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা গ্রহণ করে বেশিরভাগ ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে প্রতারণা করে তাদেরকে পথে বসিয়ে দিচ্ছে।
প্রতারণা তাদের মূলধন। এই প্রতারণার মাধ্যমেই তারা লাখ লাখ টাকা উপার্জন করে থাকে।
কৌশল : গণসংযোগ, গণ বিজ্ঞাপণ, দালাল বা ফড়িয়া।
টার্গেট : উচ্চ মধ্যবিত্ত্ব বা বাবামায়ের বখে যাওয়া সন্তানদের তারা টার্গেট করে থাকে। তাদের কাছ থেকে বিভিন্নভাবে ভুলিয়ে ভালিয়ে টাকা গ্রহণ করে তারপর তাদের সাথে করে প্রতারণা।
দেখুন ভয়ঙ্কর সেই ভিডিও কাহিনী :
বিদেশে উচ্চশিক্ষার নানা রকম সুযোগ সুবিধার প্রলোভন দেখিয়ে সহজ সরল ছাত্রছাত্রীদের ফাঁদে ফেলার ব্যবসাটা এখন ঢাকাসহ সারাদেশের শহরগুলোতে বেশ জমজমাট।
বেশকিছুদিন ধরেই বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় এমনকি দেশের প্রথম সারির অনেক পত্রিকাতেও ভেতরের পাতায় উচ্চশিক্ষার ব্যাপারে সাহায্যের জন্য উদগ্রীব এসব প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনের ছড়াছড়ি দেখা যায়। বুয়েট, মেডিকেলে চান্স পাওয়া ছাত্রছাত্রীদের মত করে ভিসা হাতে ছাত্রদের ছবি দিয়ে বিজ্ঞাপন দিতেও এদের দেখা যায়। তা দেখে অনেক সহজ সরল ছাত্রছাত্রীই এদের ফাঁদে পা দিয়ে প্রতারিত হচ্ছে প্রতিনিয়ত। নামীদামী প্লাজা, সেন্টার থেকে শুরু করে বিভিন্ন অলিগলিতে এখন গড়ে উঠেছে এসব প্রতিষ্ঠান।
একসময় উচ্চশিক্ষার জন্য কেউ বাইরে গেলে মনে পড়ত ইউনিভার্সিটির সবচেয়ে মেধাবি ছাত্রটির কথা। যারা স্কলারশিপ নিয়ে বিদেশে পড়তে যেত। আর বাকিদের কাছে তা কেবল গল্প কারার খোরাক হয়ে থাকত।
সম্প্রতি ইউরোপের কিছু দেশে বিশেষ করে জার্মানি, নরওয়ে, সুইডেনে বিনা টিউশন ফিতে উচ্চশিক্ষার ব্যাবস্থা থাকায় ইংল্যান্ড, আমেরিকার মত অনেক ছাত্রছাত্রীদেরই এখন উচ্চশিক্ষার জন্য পছন্দের তালিকায় এসব দেশের স্থান বেশ উপরে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে মেধাবি ছাত্রটির পাশাপাশি এখন অন্য ভাল ছাত্রটিও বিদেশে পড়ালেখা করার সুযোগ পাচ্ছে। আর এই বেপারটিই এখন অনেক ছাত্রছাত্রীদের আগ্রহী করে তুলছে এসব দেশের ব্যাপারে।
কিন্তু সমস্যা হচ্ছে অনেকেই সঠিক তথ্য জানেনা বা জানার সুযোগ পায় না। আর এই আগ্রহ আর সুযোগটাই কাজে লাগিয়ে এসব দালাল প্রতিষ্ঠান হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা।
দেশের প্রথম সারির একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০১২ সালে ব্যাচেলর কমপ্লিট করে ফরহাদ। পাশ করার পর বন্ধুদের মত ফরহাদও বিভিন্ন কোম্পানিতে সিভি জমা দিতে বিভিন্ন জাগায় ঘুরে বেড়ায়। তখন আপাতত চাকরি বাকরি করবে বলেই ঠিক করে সে। একদিন পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেখলো “ইউএসএ তে স্কলারশিপে পরালেখার সুযোগ”। বিজ্ঞাপনটা দেখেই সেখানে চোখ আটকে গেল তার। মুহূর্তেই নিজেকে কল্পনা করলো সেই বড় ভাইদের সাথে একসময় যাদের স্কলারশিপ নিয়ে বিদেশে পড়তে যাওয়ার কথা শুনতো আর সেই গল্প কয়েক বছর ধরে স্যারদের মুখে মুখে ফিরত। তার সামনেও এখন তেমন সুযোগ! সেও স্কলারশিপ নিয়ে আমেরিকার মত দেশে পড়তে যেতে পারবে বলে ভাবে! অনেক স্বপ্ন, অনেক প্রশ্ন মাথায় নিয়ে সেই প্রতিষ্ঠানে দেখা করার সিদ্ধান্ত নিল সে। তাদের ঠিকানা ছিলো “ACCESS, র্যাংগস কে. বি স্কয়ার, সাতমসজিদ রোড, ধানমন্ডি । কাকলী স্কুলের বিপরীতে”।
সেখানে গিয়ে “মোশারফ” নামের এক ব্যাক্তির সাথে পরিচয়। যাওয়ার সাথে সাথে তিনি ফরহাদ এর নাম ও ফোন নাম্বার লিখে রাখলেন। কথা প্রসঙ্গে তার বাড়ি চট্টগ্রামে বলতেই উনি তাকে প্রায় জড়িয়ে ধরার অবস্থা। উনি জানালেন চট্টগ্রাম আর কুমিল্লার মানুষের জন্য নাকি উনার স্পেশাল কেয়ার থাকে। কারণ উনার নিজের বাড়ি আর শ্বশুর বাড়ি এই দুই জেলায়। যাইহোক উনাকে পত্রিকার বিজ্ঞাপনের কথা বলতে উনি ফরহাদকে বোঝালেন যে আইইএলটিএস এ যদি 5.5 স্কোর থাকে তাহলে ইউএসএ তে তিনি কমপক্ষে ৫০% স্কলারশিপ পাইয়ে দিতে পারবেন। কোন ভার্সিটি? কি সাবজেক্ট? এসব ব্যাপারে সে আর পরিস্কার কোন ব্যাখ্যা দিল না। ফরহাদও আর তেমন কোন প্রশ্ন করল না। সত্যি বলতে কি ৫০% স্কলারশিপের কথা শুনেই ফরহাদ লোভে পড়ে গেল। যেখানে অল্প কিছু স্কলারশিপ যোগার করতেই কত মেধাবি ছাত্রদের প্রোফেসারদের লিখতে লিখতে অবস্থা খারাপ হয়ে যায়, সেখানে আইইএলটিএস এ 5.5 স্কোরেই ৫০% স্কলারশিপ! এখন সেটা তার কাছে প্রায় অসম্ভব মনে হলেও তখন মোশারফের সুন্দর সুন্দর কথায় তার মাথায় আর সেই প্রশ্ন আসেনি। বাসায় ফিরে এই কথা জানাতেই সবাই বেশ অবাক হল। আরও খোজখবর নিতে বলল।
বন্ধুদের সাথে এই বিষয়টা নিয়ে আর আলোচনা করল না সে। যদি পরে ফরহাদ এই সুবর্ণ (!) সুযোগ না পায়! তবে অনেক খটকা লাগতে লাগল তার নিজের কাছেই। পরেরদিন মোশারফ নিজেই ফরহাদকে ফোন দিয়ে অফিসে ডাকল। মনের খটকা প্রশ্ন গুলোর কথা তাকে বলতেই সে বলল, তারা নাকি ইউএসএ র ৫০টারও বেশি স্টেট ইউনিভার্সিটির লোকাল এজেন্ট, তাদের নাকি নিজস্ব কোটা থাকে প্রতিটি ইউনিভার্সিটিতে। শুধু তাই না। অফিস থেকে ফরহাদ-এর ফোন থেকে আব্বুকে ফোন করে জানাল যে আমেরিকায়ও নাকি তাদের লোক আছে যাদের কাজ হচ্ছে ACCESS এর মাধ্যমে যেসব ছাত্র সেখানে যায় তাদের থাকা খাওয়া ও পার্টটাইম জবের ব্যবস্থা করে দেয়া। আর ভিসা হওয়া পর্যন্ত তাদের ফি হচ্ছে ৩.৫ লাখ টাকার মত। সব শুনে ফরহাদ নিজেই এবার আব্বুকে চাপ দিতে লাগল। এত ভাল সুবিধা দেয় ওরা! কিন্ত কে জানত পরে আরও কি হবে?
অবশেষে ফরহাদ তার আব্বুকে নিয়ে তাদের অফিসে ACCESS এ গেল। শুরুতেই গম্ভিরভাবে মোশারফ জানাল তার কোটা তো পূরণ হয়ে গেছে। শুনে ফরহাদ একদম হতাশ হয়ে গেল। তার মুখ দেখে কাকে যেন ফোন করল। তারপর জানাল তার কোটা শেষ হয়ে গেছে কিন্তু আরেক কাউন্সিলরের কাছ থেকে সে কোটা ধার করেছে আমার জন্য! (কত দরদ!) তাই খুব দ্রুত ফাইল ওপেন করে আপ্লিকেশন করে ফেলতে হবে আর ইউনিভার্সিটির টিউশন ফি ও এখনি দিয়ে দিতে হবে (ভর্তি না হয়েই!) সব মিলিয়ে প্রায় আড়াই লাখ টাকা দিতে হবে ৩-৪ দিনের মধ্যে! আর যদি ভিসা না হয় তাহলে কেবল টিউশন ফি ফেরত দেবে তবে ভিসা রিজেকসনের ডকুমেন্টস তাদের দেখাতে হবে।
এবার একটু ভেজাল মনে হতে লাগল, কিন্তু তার মাথায় তখন ইউএসএ, স্কলারশিপ, ডলারের চিন্তা। এসব ভেবে খুব একটা সময় নষ্ট করল না। আব্বুকে জোরাজুরি করে ৪ দিনের মাথায় সেই টাকা তাদের দিয়ে দিল। টাকা দেয়ার সময় অনেকগুলো কাগজে সই নিল। যার প্রায় সবগুলাতেই লেখা আছে এই টাকা Nonrefundable. শুধুমাত্র ভিসা না হলে ১৫০০ ডলার টিউশন ফি ফেরত পাব। এরপর আইইএলটিএস দিলাম স্কোর 5.5 এর উপরেই আসল। আমিত কেবল স্কলারশিপের স্বপ্নে বিভোর। যখন যেই পেপার চায় সাথে সাথে নিয়ে হাজির হই। এভাবে বিভিন্ন পেপার চাইতে চাইতেই প্রায় ৪ মাস পার হয়ে গেল। কিন্তু ইউনিভার্সিটির কোন খবর নাই। একটু চাপ দিলেই একবার এই ইউনিভার্সিটি আরেকবার ওই ইউনিভার্সিটির নাম বলে। কখনো টেক্সাস, কখনো উইচিটা স্টেট কখনো মন্টানা এসব ইউনিভার্সিটির নাম বলে কিন্তু ভর্তির কোন খবর নাই। এর মধ্যে ফরহাদ-এর সাথের অনেক বন্ধুরাও ইউএসএ চলে গেল। তাদের কাছে খোজ নিয়ে জানল একটা সেমিস্টারের ভর্তির সময় অলরেডি পার হয়ে গেছে অথচ তার কোন খবর নাই।
এভাবে প্রায় ৬ মাস কেটে গেল। অবশেষে একদিন তাদের অফিসে গিয়ে ফরহাদ জানল তার I-20 এসেছে। California র একটা অখ্যাত প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি থেকে। I-20 আসার পর তারা আরও ২০ হাজার টাকা দাবি করল তাদের ফি হিসাবে। এবার আস্তে আস্তে তার মোহ কাটতে লাগল। যেহেতু আগেই এতগুলো টাকা তাদের দেয়া হয়ে গেছে তাই ২০ হাজার টাকাও দিয়ে দিল তাদের চাহিদা মত। স্পন্সরসিপের কাগজপত্র ঠিকঠাক করে শেষমেশ ভিসার জন্য দাঁড়ানোর প্রস্তুতি নিলাম। সাধারণত I-20 লেটারের আসল কপি তারা স্টুডেন্টদের দেয় না। এম্বেসি যেদিন ফেস করতে হয় সেদিন ওদের একজন লোক সাথে যায় তার হাত থেকে মূল কপি নিয়ে ভিসার ইন্টার্ভিউ দিয়ে আবার মূল কপি ফেরত দিতে হয়। কিন্তু তার ইন্টার্ভিউয়ের আগে তাদের ওরকম কোন লোক ছিলনা। তাই ফরহাদকে আগের দিন I-20 র মূল কপি দিয়ে দিল। সাথে একটা খামে আরো অন্যান্য কাগজ।
আর তখনি তার কাছে উন্মোচিত হল তাদের আরেক দফা প্রতারণার চিত্র। ইউনিভার্সিটির অ্যাপ্লিকেশন ফি, রেজিস্ট্রেশন ফি, ব্যাংক চার্জ, কুরিয়ার এসব বাবদ তারা প্রায় ৫৫০ ডলার অর্থাৎ প্রায় ৪২০০০ টাকার একটা হিসাব আমাকে দেখিয়েছিল কিন্তু তাদের ওই খামে একটা মানি রিসিট পেল যেখানে অ্যাপ্লিকেশন আর রিটার্ন কুরিয়ার ফি সহ মাত্র ১২৮ ডলারের হিসাব আছে। অর্থাৎ বাকি প্রায় ৩৩ হাজার টাকা ACCESS শুধু শুধু নিয়েছে।
অবশেষে তার ভিসা হল। দালাল মোশারফের কথা অনুযায়ী ভিসার পর স্কলারশিপ, থাকা, খাওয়া আর জবের কথা মনে করিয়ে দিয়ে কোন সদুত্তর পেল না। ততদিনে আমিও আস্তে আস্তে সব বুঝে গেছি তবুও পরিবারের দিকে তাকিয়ে একগুলো টাকার মায়ায় এসব না মেনে কোন উপায় ছিলনা। যেহেতু ভিসাও হয়ে গেছে তাই তাদের কাছ থেকে আর ১টা টাকাও ফেরত পাওয়ার আর কোন সম্ভাবনাই থাকল না। তাই চুপচাপ মোশারফের মিথ্যা প্রতিশ্রুতির কথাগুলো এক বুক কষ্ট নিয়ে মেনে নিল। তার মাঝে মাঝেই ওই দালাল মোশারফের জন্ম পরিচয় নিয়ে তীব্র সন্দেহ হয়!
ফরহাদ এখন আমেরিকায় আছে। ACCESS থেকে পাওয়া I-20 নিয়েই সেই ভার্সিটিতেই ভর্তি হয়েছিল। পরে সেখান থেকে অন্য ভার্সিটিতে ট্রান্সফার করেছে।
আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে ব্যাংকে স্টুডেন্ট ফাইল ওপেন করা। এই বিষয়েও অধিকাংশ ছাত্রদের কোন ধারনা থাকেনা। তাই তাদের আরেক দফা প্রতারিত করার সুযোগ পায় এসব দালালরা। মোশারফের মতই ACCESS এর আরেক দালাল হচ্ছে “মিল্টন”। মোশারফের মত সেও মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিতে ওস্তাদ। এই দালাল সিটি ব্যাংকে স্টুডেন্ট ফাইল ওপেন করানোর ব্যাপারে খুবই আগ্রহী। ACCESS এর মত VISA WORLWIDE ও তাদের ছাত্রদের সিটি ব্যাংকেই স্টুডেন্ট ফাইল ওপেন করায়। এই সিটি ব্যাংকের ব্যাপারেও সতর্ক থাকা উচিৎ। মিল্টন আর সিটি ব্যাংকের পাল্লায় পরে আমার ব্যাংক ড্রাফটের টাকা হাতছাড়া হওয়ার দশা হয়েছিল। প্রায় সকল AD (Authorized Dealer) ব্যাংকেই স্টুডেন্ট ফাইল ওপেন করা যায়। প্রয়োজনে নিজে কোন ব্যাংকে গিয়ে এই ব্যাপারে বিস্তারিত যেনে নিন। কারো কথায় নয় নিজের সুবিধামত স্থানের, পরিচিত কেউ আছে এমন ব্যাংকে স্টুডেন্ট ফাইল খুলুন।
সবশেষে সবার কাছে ফরহাদ-এর বিশেষ একটা অনুরোধ। উচ্চশিক্ষার্থে বিদেশ গমন কেবল আপনার সাথেই জড়িত নয়। এর সাথে আপনার পরিবার, বন্ধু-বান্ধব সহ অনেকের স্বপ্ন জরিত। সামান্য অসতর্কতা, চটকদার বিজ্ঞাপনের প্রলোভন আপনার এই স্বপ্নকে দুঃস্বপ্নে পরিণত করতে যথেষ্ট। তাই ACCESS, VISA সহ সবরকম দালাল মিডিয়া থেকে সাবধান। মোশারফ, মিল্টন, মনির, ইমি দের মত দালালরা আপনার সুন্দর স্বপ্নকে ধ্বংস করতে সর্বদাই প্রস্তুত। বিদেশে পড়তে যাওয়ার কাজটা মোটেই কঠিন কোন বিষয় নয়। আপনার যতটুকু যোগ্যতা আপনি ততটুকুই পাবেন। কেউ আপনাকে আপনার যোগ্যতার চেয়ে বেশি পাইয়ে দিতে পারবেনা। ইন্টারনেটের এই জগতে কঠিন কিছুই না। সব খবরই পাওয়া যায়। তাই কোন মিডিয়া /দালালদের কোন সাহায্যের দরকার হয় না। দরকার শুধু আপনার নিজের একটু শ্রম,সময় আর ধৈর্য। ব্যাস। উচ্চশিক্ষার এই পথ নিজে পাড়ি দিতে শিখুন। এতে হয়ত ছোটখাটো হোঁচট খেতে পারেন। কিন্তু মসৃণ পথ ভেবে কখনো বড় গর্তে অন্তত পরবেন না। এখন সিদ্ধান্ত আপনার।
চাঁদপুর টাইমস : এমআরআর/২০১৫